ব্যুরো নিউজ,২ জানুয়ারি:বছরভর বেড়াতে যাওয়া যায়, শীতকাল কিন্তু একেবারেই আলাদা। উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে তীব্র রোদও ঠান্ডার দিনে বেশ মিঠে লাগে। বিশেষত, শীতকালে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গরম বা বর্ষার সময়ে সমস্যা থাকে কিন্তু শীতকালেই সেই জায়গাগুলি আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। কেরল, গুজরাত, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলিতে শীতকালীন আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে, ওড়িশার গোপালপুর একেবারে আদর্শ জায়গা।
চলুন ঘুরে আসি কলকাতার একদম কাছে ‘মন্দির শহর’ কালনা থেকে
ওড়িশার গোপালপুর: কলকাতা থেকে কাছে ঘুরে আসুন
কলকাতা থেকে তুলনামূলক কাছের এক সুন্দর সমুদ্র সৈকত শহর গোপালপুর। পুরী বাঙালিদের পছন্দের জায়গা হলেও, যদি সমুদ্রের তীরে বেশি ভিড় না চান, তবে গোপালপুর একেবারে আদর্শ। গোপালপুরের সৈকতের এক শান্ত পরিবেশ, বিরামহীন ঢেউ, সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের রূপ সবার মন কেড়ে নেয়। এখানে স্নান করতে আসা পর্যটকদের জন্য এক ধরনের স্বর্গরাজ্য।গোপালপুরের কাছেই আরও অনেক সুন্দর জায়গা ঘুরে আসার সুযোগ রয়েছে। যেমন, রম্ভা, বরকুল, দারিংবাড়ি। রম্ভা এবং বরকুলের অপার সৌন্দর্য দেখতে হলে সেখানে ঘুরে আসা যায়। চিলকা লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, ঝর্ণা, কফি বাগান এবং এমু ফার্মের খ্যাতি দারিংবাড়ি অঞ্চলকে একটি দারুণ পর্যটন কেন্দ্র বানিয়েছে।
শীতের মরসুমে বেড়ানোর আদর্শ স্থান কচ্ছের রণ। চলুন ঘুরে আসি
গোপালপুরে থাকার ব্যবস্থা
গোপালপুরে সমুদ্রের ধারে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে, যেখানে পর্যটকরা আরামদায়ক থাকার সুবিধা পাবেন। সমুদ্রের পারেও বেশ কিছু হোটেল রয়েছে, কিন্তু একটু দূরেও রয়েছে ‘পান্থ নিবাস’, যা ওড়িশা পর্যটন দফতরের পরিচালিত একটি সরকারী আবাসিক ব্যবস্থা।
যাতায়াত ব্যবস্থা
গোপালপুর যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে ব্রহ্মপুর পৌঁছাতে হবে। তারপর সেখান থেকে মাত্র আধ ঘণ্টা গাড়িতে গেলে পৌঁছে যাবে গোপালপুর। যদি সরাসরি গাড়ি নিয়ে যেতে চান, তাহলে সড়কপথে কলকাতা থেকে গোপালপুরের দূরত্ব ৬১০ কিলোমিটার।