ব্যুরো নিউজ, ৯ ফেব্রুয়ারি: বাচ্ছা থেকে বুড়ো কে না জানে ভ্যালেন্টাইন’স ডে-এর কথা। সকলের কাছেই এটি প্রেমের দিন। তাই প্রেমের এই দিনটিকে উদযাপন করতে আমরা কি না করি… মনের মানুষটির জন্য দামি দামি উপহার, ফুলের তোড়া, চকলেট, সারপ্রাইজ প্ল্যান করা, নামীদামী রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া… আরও কতো কি! সারম্বরে প্রেমের দিবস উদযাপন তো করি, কিন্তু জানি কি এই প্রেমের দিনটি কি ভাবে এলো? কেনই বা পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন’স ডে?
এই চার রাশির জন্য সুখবর! আর থাকতে হবে না সিঙ্গেল, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তেই জীবনে আসবে প্রেম
প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে রোমান দেবী রানী জুনোর পূজা করা হতো। আর রোমে এই দিনটিকে ছুটির দিন হিসাবে ধরা হতো। রানী জুনোকে প্রেমের দেবী বলেই বিশ্বাস করত সকলে। তাই তার পূজার দিনটি অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসাবেই মনে করা হতো।
আবার কথিত আছে, রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে দেশে বিয়ে প্রথা নিষিদ্ধ করেন। তিনি ঘোষণা করেন, আজ থেকে কোনও যুবক বিয়ে করতে পারবে না। যুবকদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। তার মতে, যুবকরা যদি বিয়ে করে তবে যুদ্ধ করবে কারা? সম্রাট ক্লডিয়াসের এ অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করেন এক যুবক। যার নাম ভ্যালেন্টাইন। অসীম সাহসী এই যুবকের প্রতিবাদে ক্ষেপে উঠেছিলেন সম্রাট ক্লডিয়াস। রাজদ্রোহের শাস্তি স্বরূপ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা তাঁর মাথা কেটে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ভালোবাসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের কথাকে স্মরণ করেই এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তবে এখানেও আছে দ্বিমত।
কারও কারও মতে, প্রাচীন রোমে একজন সদয়ী চিকিৎসক ছিলেন, তার নাম ছিল ভ্যালেন্টাইন। ভ্যালেন্টাইন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্মের জনপ্রিয়তা তখন ছিলনা। এই ধর্ম গ্রহণ করলে তখন শাস্তি দেওয়া হতো। একদিন এক কারা প্রধান তার অন্ধ মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইনও তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করেন। মেয়েটির চিকিৎসা চলাকালীন একদিন রোমান সৈন্যরা এসে ভ্যালেন্টাইনকে বেঁধে নিয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আবার মতবিরোধে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড হয়। তবে মৃত্যুর আগে ভ্যালেন্টাইন ওই অন্ধ মেয়েটিকে একটি পত্র লিখেছিলেন। সেই পত্রে লেখা ছিল, ‘ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন’। তাছাড়াও ততদিনে চিকিৎসাধীন মেয়েটির দৃষ্টি ফিরে এসেছিল, সে দেখে চিরকুটের ভেতরে বসন্তের হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং রয়েছে। ভালোবাসার এই কীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়ে পোপ জেলাসিয়ুস ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেন।