ব্যুরো নিউজ,২০ ডিসেম্বর:বিয়েতে প্রতিটি ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান থাকে। হিন্দু ধর্মে যেমন জয়মালা, সিঁদুর দান, সাত পাক, কন্যাদান ইত্যাদি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এইসব আচার-অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আসে ফুলশয্যার রাত, যা সুহাগ রাত নামে পরিচিত। কিন্তু “সুহাগ রাত” শব্দটির প্রকৃত অর্থ কী? কেন এই বিশেষ রাতকে এমন বলা হয়? এর পেছনের কারণ জানেন না অনেকেই।
৪০-এর গণ্ডি পেরিয়েও অবিবাহিত টলিপাড়ার এই পাঁচ নায়িকা, জানুন তারা কারা?
সুহাগ রাতের অর্থ
“সুহাগ রাত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ “সৌভাগ্য” থেকে। সৌভাগ্য অর্থাৎ শুভ লক্ষ্যের সঙ্গে এই রাতের সংযোগ রয়েছে। এই রাত শুধু নবদম্পতির একান্ত সময় নয়, এটি বিবাহিত জীবনের শুভ সূচনাকেও নির্দেশ করে। “সুহাগ” শব্দটি সুখ, ভালোবাসা, এবং মঙ্গলময় জীবনের প্রতীক।
সুহাগ এবং সৌভাগ্যের সংযোগ
বিয়ের পর স্ত্রীকে সুহাগান বলা হয়, যা স্বামীর সৌভাগ্যের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশ্বাস অনুযায়ী, বিবাহিত নারীরা স্বামীর মঙ্গল ও সৌভাগ্য বৃদ্ধির জন্য সিঁদুর, শাখা, পায়ের আংটি এবং মঙ্গলসূত্র পরেন। ফুলশয্যার রাতে নবদম্পতি তাঁদের সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেন, যা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ফুলশয্যার বিশেষতা
ফুলশয্যার রাতে নবদম্পতির শোবার ঘর সাজানো হয় ফুল দিয়ে। এই ফুলগুলো শুধু সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য নয়, বরং এগুলো সৌভাগ্য, সুখ, এবং ভালোবাসার প্রতীক। এই বিশেষ রাত নবদম্পতির বন্ধন আরও দৃঢ় করে এবং তাঁদের জীবনে মঙ্গল কামনার একটি আচার।
সুহাগ রাতের গুরুত্ব
- সম্পর্কের শুভ সূচনা: এই রাত নবদম্পতিকে একে অপরকে আরও কাছ থেকে জানার সুযোগ দেয়।
- সৌভাগ্যের প্রতীক: নবদম্পতির সুখী ও মঙ্গলময় জীবনের সূচনা এই রাত থেকে হয়।
- পারিবারিক ঐতিহ্য: বিভিন্ন আচার ও রীতির মাধ্যমে এটি পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে।
বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছেড়ে বাবা সেলিমের পুরনো বাইক চড়ছেন কেন ভাইজান ?
ফুলশয্যার রাত বা সুহাগ রাত শুধুমাত্র একটি রাত নয়, এটি নবদম্পতির জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ভালোবাসা, সুখ, এবং মঙ্গল কামনার সঙ্গে এর সংযোগ একে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। সংস্কৃত “সৌভাগ্য” শব্দ থেকে উদ্ভূত “সুহাগ” শব্দটি এই রাতের পবিত্রতা এবং মঙ্গলময়তার প্রতীক।