ব্যুরো নিউজ,১৭ আগস্ট:কোভিড যেতে না যেতেই আবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ঘোষণা করলেন গ্লোবাল এমার্জেন্সি। বিশ্বজোড়া সর্তকতা শুরু হয়েছে মাঙ্কি পক্স নিয়ে। আফ্রিকার প্রায় ১০দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাঙ্কি পক্স। মাত্র সাত আট দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার গুণ বেড়েই চলেছে। আফ্রিকার বাইরেও বা নতুন নতুন দেশে এই মাঙ্কি পক্স ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে।WHO সূত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, ১১৬ টি দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়েছে। দশ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে আফ্রিকার ১০টি দেশে।
Rg kar case:”এদের সঙ্গে দেখা হলে ডাক্তার বোনটির আত্মা কষ্ট পেতো”আপসহীন লড়াইয়ে শুভেন্দু
কি হতে পারে মাঙ্কি পক্স হলে ?
গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে সব দেশের বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ। আফ্রিকা থেকে ইউরোপের মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাঙ্কি পক্স যদি হু হু করে বাড়তে থাকে তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে এই মাঙ্কি পক্সে আগামী দেড় থেকে দু মাসের মধ্যে। তাই এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আফ্রিকা ও ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এই মাঙ্কি পক্স যে আসতে চলেছে এটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। যারা মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের রাখার মত জায়গা নেই, ওষুধ নেই ,প্রতিষেধক নেই। ফলে দিনে দিনে বাড়তে থাকছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই কারণের জন্যই WHO জরুরী বৈঠক ডেকেছিল। গ্লোবাল এমার্জেন্সি যে আসলে মাঙ্কি পক্স এটা বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছিল।
RG Kar case:মুখ খুললেই ট্রান্সফার?একধাক্কায় ৪৩ চিকিৎসক বদলির নির্দেশ, মমতার নিন্দায় সরব সংগঠন
বহু মানুষ ধারণা করছে যে মাঙ্কি পক্স একটা নতুন ভাইরাস যা প্রাণঘাতী নয় কিন্তু তাএকেবারেই ভুল কারন এটি পুরনো ভাইরাস এবং এতে প্রাণের ঝুঁকি ও আছে। শুধু বাঁদর থেকে নয় নানা রকম পশু থেকেও ছড়াতে পারে এই রোগ। চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যৌনতার মাধ্যমে এই মাঙ্কি পক্স ছড়ানোর প্রবণতা বেশি। এছাড়া কোন আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েক ফুটের দূরত্বে থাকলেও শরীরে ঢুকতে পারে এই ভাইরাস।
RG Kar case:মেয়েকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কারা জড়িত..সিবিআইকে যা বলেছেন মৃতার বাবা
শ্বাসনালী নাক মুখ চোখ কাটাছেড়া কোন ক্ষতস্থান দিয়েও এই ভাইরাস প্রবেশ করার প্রবণতা বেশি। আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির পোশাক পরলেও এই ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে। কি করে বুঝবেন যে মাঙ্কি পক আপনার শরীরে বাসা বেধেছে এর জন্য আপনাকে পলিমেরাস চেন রিয়েকশন বা পিসিআর এই প্রযুক্তির পরীক্ষা ছাড়া কোন উপায় নেই। যদিও খুব কম লাবেএই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত ভারতে এই মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণের ঘটনার কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।