ব্যুরো নিউজ,২৯ আগস্ট:”পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের উপর মুসলিমদের অত্যাচার চলছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারাও রয়েছেন। এমনকি ঘুষ নিয়ে জাল নাগরিক সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এক মুসলিম নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আমরা খুব জলদি পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক হব”। না, এটা কোনো জায়গার ঘটনা নয়। ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ সিনেমার ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ট্রেলারে এই ছবি এবং ডায়লগ শোনা যাচ্ছে। এবার সেই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা দাবি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
ক্লান্তি ,অনিদ্রা ,গায়ে ব্যথায় ভুগছেন? হতে পারে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি। কোন খাবারে ঘাটতি পূরণ সম্ভব
কি নির্দেশ হাইকোর্টের?
আরজি কর প্রতিবাদে মুখর নাট্যদল,সরকারি অনুদান ফিরিয়ে বয়কট নাট্যমেলাও
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’। সামনে তার ট্রেলার এসেছে। যেখানে রাজ্যের শাসকদল মুসলিম তোষণ করছে বলে দেখানো হয়েছে। মুসলিমরা হিন্দুদের উপরে অকথ্য অত্যাচার, খুন করছে বলে ওই ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে। সেখানে নীল সাদা শাড়ি পড়া এক মহিলাকে দেখানো হয়েছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, তিনি এই মুসলিম তোষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। আর তারপরেই এই সিনেমাটি মুক্তি পেলে রাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের মানুষ অনেক সহনশীল। তাদের বিচার বিবেচনার উপরে ছেড়ে দিন।
ইচ্ছেটা কি ধরনের?অফিশিয়াল নাকি রাজনৈতিক?রাজ্যকে তুলোধোনা হাইকোর্টের
এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, সিনেমা বা বই নিষিদ্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশ আছে। ইচ্ছে হলে দর্শক সেটা দেখবেন, না ইচ্ছা হলে দেখবেন না। গণতান্ত্রিক দেশে সেটাই হওয়া উচিত। কেউ কারো উপরে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। সমালোচনার অধিকার সকলেরই রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ছবির পরিচালক সনোজ মিশ্রকে এর আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছিল। তিনি কলকাতায় এসে পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।