পশ্চিমবঙ্গে ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি

ব্যুরো নিউজ,১০ জানুয়ারি:কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের রিপোর্টে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলগুলির ছাত্র ভর্তি হারের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে গত শিক্ষাবর্ষে তিন হাজারেরও বেশি (৩২৫৪টি) স্কুল রয়েছে যেখানে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি, অর্থাৎ সেসব স্কুল সম্পূর্ণ ছাত্রশূন্য। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি ছাত্রশূন্য স্কুল রয়েছে। এমনকি এসব স্কুলে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক কাজ করছেন।

২০২৫ সালে শনি-মীন রাশির পরিবর্তন।কোন কোন রাশির জন্য সমস্যা আসতে চলেছে? এখুনি জানুন 

UDISE+

কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত শিক্ষাবর্ষে দেশের প্রায় ১৩ হাজার (১২,৯৫৪টি) স্কুলে কোনো পড়ুয়া ভর্তি হয়নি, তবে এসব স্কুলে মোট ৩১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক কাজ করছেন। এছাড়া, এমনও অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান, যেখানে ২১৬৭টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেলঙ্গানা, যেখানে ২০৯৭টি স্কুলে গত শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তি হয়নি।এই রিপোর্টটি প্রতি বছর কেন্দ্র প্রকাশ করে থাকে, যা “ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস” (UDISE+) থেকে সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকদের সংখ্যা, শিক্ষাকর্মীর শূন্যপদ, বিভিন্ন স্কুলের পরিস্থিতি এসব তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষামন্ত্রক প্রতিবছর একটি পরিসংখ্যান তৈরি করে।এই রিপোর্ট প্রকাশের পর শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল মন্তব্য করেছেন, “এই পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার হচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি শুধুমাত্র ভাতা, ট্যাব বা অন্যান্য উপকরণের মাধ্যমে সম্ভব নয়।

আরজি কর কাণ্ডের রায়দানের দিনক্ষণ ঘোষণাঃ নির্যাতিতার মা-বাবার নতুন মন্তব্য কি?

বুনিয়াদি কাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন, যা এই সরকার দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অবহেলা করেছে।” এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির রাজ্য সহ-সম্পাদক সঞ্জয় বড়ুয়া জানিয়েছেন, “এই রিপোর্ট সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা যায় না, তবে বাস্তবে আমরা এমন পরিস্থিতি দেখতে পাই না।” এদিকে, রাজ্য শিক্ষা দফতর এখন তথ্য সংগ্রহ করছে, যাতে প্রতিটি স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এবং শূন্যপদের পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে জানা যায়। সাধারণত প্রতি ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য এক জন শিক্ষক থাকলে সেটি আদর্শ ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত হিসেবে ধরা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর