লাবনী চৌধুরী, ২১ এপ্রিল : তাপমাত্রার পারদ ৪৪ ডিগ্রি পেরিয়েছে। এমনকি তা আরও বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বাইরে চলছে লু। তাই ভোর -দুপুরে অহেতুক বাইরে বেরানো থেকে বিরত থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই অবস্থায় ঘরেও যেনও টেকা দায়! জানলা – দরজা বন্ধ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না গরম হাওয়া। বার বার শুকিয়ে আসছে গলা। মনে হচ্ছে একটু ঠাণ্ডা জল পেলেই যেনও শান্তি। কিন্তু সেখনেই দেখা দিয়েছে বড় সমস্যা।
গরমে শিশুদের পোশাকে বাড়তি নজর প্রয়োজন
বাঁকুড়া, বীরভূম এই জায়গাগুলিতে ৪৫-এর গণ্ডি ছুয়েছে তাপমাত্রা। আর এই অবস্থায় দেখা দিয়েছে জল সংকট। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের কেন্দসায়ের গ্রামে পানীয় জলে সমস্যা। যখন একটু জলের জন্য ছাতি ফাটছে। তখন একটু জল পেতেই মরিয়া সেখানকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই চরম গরমে জলকষ্টে ভুগছে গোটা গ্রাম।
বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লক খরাপীড়িত এলাকা। তাই এখানে জলের সমস্যা সমাধানের জন্য বসানো হয়েছে পাইপ লাইন। কিন্তু সেই পাইপ লাইন নামেই। জলের পাইপ লাইন আছে কিন্তু জল নেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মাত্র দু’দিনের জন্য তারা এই পাইপ লাইন দিয়ে জল পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর জলের দেখা নেই। ভোটও গেছে, জলও গেছে। তাই জল যেনও আজ তাদের কাছে মরিচিকা!
তবে এসব নিয়ে কম অভিযোগ জানাননি তারা। স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন- নিবেদন করেও কোনও সুরাহা হয়নি। গ্রামে একাধিক নলকূপ থালেও বহু নলকূপ বিপল, আবার বহু নলকূপের জল পানের অযোগ্য। তাই এই গরমে একটু জলের জন্য তাদের পোহাতে হয় কষ্ট। আর যার কোনও সমাধান আজও হয়নি। এদিকে সামনেই ভোট তবুও এ বিষয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। আর এই অবস্থায় গ্রামের মানুষের প্রশ্ন, আর কটা ভোট গেলে টনক নড়বে সরকারের? তাদের এই কষ্টের “দিন কবে শেষ হবে? রাত ভোর হয়ে সূর্য উঠবে কবে?