ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর :হিন্দু ধর্মে ভগবান বিশ্বকর্মার বিশেষ স্থান রয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, মহাবিশ্বের সৃষ্টির পর, এর সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য গঠনের দায়িত্ব ভগবান বিশ্বকর্মার উপর অর্পিত হয়েছিল। তাই তাঁকে মহাবিশ্বের স্থপতি বলা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ভাদ্রপদ মাসে সূর্য দেবতা কন্যা রাশিতে প্রবেশ করলে ভগবান বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। এই কারণে প্রতি বছর সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশের দিন বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়।
মমতার মিটিং ভেস্তে যাওয়ার পেছনে শুভেন্দুর অভিযোগ
জ্যোতিষ শাস্ত্র কি বলছেন ?
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বিশ্বকর্মা পূজার দিন কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসতে পারে। বিশ্বকর্মা জয়ন্তীর দিন সকালে পূজা করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ। অর্থের অভাব বা পরিবারে শান্তির অভাব হলে, এই দিনে বিশেষভাবে পূজা করা উচিত। সকালে স্নান করে প্রথমে বাড়ির মন্দিরে ভগবান বিশ্বকর্মার ছবি স্থাপন করুন। তারপরে, বিশ্বকর্মার ছবির সামনে একটি ঘট রাখুন এবং তা জল দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর ভগবানকে অক্ষত ফল, ফুলের মালা, চন্দন, সুপারি এবং হলুদ সর্ষে অর্পণ করুন।
প্যারিসে জোড়া পদক জয়ে মনু ভাকেরের নতুন শুটিং রেঞ্জ কি তার সাফল্যের পরবর্তী অধ্যায়?
পূজা করার আগে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা আবশ্যক। ঘরের চার কোণে হলুদ সর্ষে ছিটিয়ে দিন, যা নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করে। পুজোর সময় বাড়ির প্রতিটি সদস্যের হাতে রক্ষা সূত্র বেঁধে দিন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই প্রতিকার ধনলাভের পথে আসা সমস্ত বাধা দূর করে এবং ঘরে সুখ ও শান্তি বজায় রাখে।পুজোর পর ফুল ও অক্ষত নিয়ে ভগবান বিশ্বকর্মাকে উৎসর্গ করা মন্ত্রগুলি তিন থেকে চারবার জপ করুন। এরপর, হাতে থাকা অক্ষত ঘরের চার দিকে ছিটিয়ে দিন। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।