village-durga-puja-legacy-and-celebration

ব্যুরো নিউজ ২ অক্টোবর: গ্রামের দুর্গা পুজো মানে এক ভিন্ন ধরনের উৎসব। শহরের তুলনায় এখানকার দৃশ্যপট সম্পূর্ণ আলাদা। আলোর সজ্জা থেকে শুরু করে রীতি-রেওয়াজ, সবকিছু যেন দুটি ভিন্ন জগতের প্রতিফলন। দক্ষিণ দিনাজপুরের নাজিরপুর গ্রামের বইদুল চৌধুরীর পুজো ১১৪ বছর ধরে চলছে, যা সত্যিই নজরকাড়া।

বিমানে বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীর অমানবিক অপমানঃ ব্রিটিশ সাংবাদিকের শোচনীয় অভিজ্ঞতা

সারা রাত ধরে চলে গানের আসর

এটি একটি পরিবারের পুজো, কিন্তু শতবর্ষ আগে যে রীতি অনুযায়ী পুজো শুরু হয়েছিল, তা আজও অমলিন রয়েছে। এই পুজো যেন প্রাচীন সময়ের এক বিশেষ খণ্ডকে আগলে রেখেছে। ১৯১০ সালে শুরু হওয়া এই পুজোয় রয়েছে চণ্ডীমঙ্গলের ঐতিহ্য, যা বাংলার একটি বহুপ্রাচীন রীতি।পুজোর সময় মণ্ডপের আঙিনায় সবাই মিলে চণ্ডীমঙ্গলের গান উপভোগ করেন। গায়কেরা একের পর এক গান গেয়ে চলেন, কখনও কখনও সারা রাত ধরে। ষষ্ঠীর দিন থেকে নবমীর রাত পর্যন্ত এই গান গাওয়ার আসরের আয়োজন থাকে। পাশের গ্রামের মানুষেরাও এই পুজোয় যোগ দিতে আসে, কারণ তাদের গ্রামে তেমন কোনো পুজো হয় না।চৌধুরী বাড়ির পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হলো অষ্টমীর সন্ধি পুজোর আয়োজন। সন্ধিপুজোর সূচনা হয় একনলা বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়ার মাধ্যমে। নবমীর দিন মহাভোগের আয়োজন হয় চৌধুরী পরিবারের দালানে, যেখানে প্রায় দুই হাজার লোক জড়ো হন। পরিবারের সদস্যরাই প্রসাদ পরিবেশন করেন।

চিতাবাঘের আতঙ্কে কৃষকের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে

গ্রামের সেই পুজোর পরিবেশ, মাটির ঘর, বারান্দা, আর খিলানযুক্ত পুজো মণ্ডপ যেন সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই পাঁচ দিনের জন্য। বর্তমানে চৌধুরী পরিবারে মোট ২৩টি পরিবার রয়েছে, যারা সবাই পুজোর আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর