ব্যুরো নিউজ , ১৬ ফেব্রুয়ারি:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে। এবার ১১৯ জন ভারতীয়কে নিয়ে মার্কিন বিমানটি অমৃতসরে পৌঁছেছে। এটি ছিল দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগের অংশ। এই ১১৯ জনের মধ্যে ৬৭ জন পঞ্জাব, ৩৩ জন হরিয়ানা, ৮ জন গুজরাট, ৩ জন উত্তরপ্রদেশ, ২ জন গোয়া, ২ জন মহারাষ্ট্র, ২ জন রাজস্থান এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। একে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮, আহত বহু যাত্রী
ওয়াশিংটনকে সতর্কীকরণ
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিমান ১০৪ জন ভারতীয় নাগরিক নিয়ে অমৃতসরে পৌঁছেছিল। তবে, সেই বিমানে চড়তে গিয়ে ভারতীয় অভিবাসীরা অভিযোগ তুলেছিলেন যে, গোটা যাত্রার সময় তাঁদের হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। এমনকি মহিলাদের পা এবং কোমরে শিকল বাঁধা ছিল, যা নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ হয়েছিল। এই ঘটনায় ভারতীয় সরকার আমেরিকার কাছে উদ্বেগ জানায় এবং অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসনকে তার সরকারের এক প্রধান ইস্যু হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি তিনি কলম্বিয়া সহ বেশ কিছু দেশে অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করছে। এদিকে, সম্প্রতি হোয়াইট হাউস থেকে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যায়, অবৈধ অভিবাসীদের বিমানে তোলা হচ্ছে এবং তাঁদের কোমরে শিকল বাঁধা রয়েছে, যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
ফ্রুট স্যালাডের সঙ্গে সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতাঃ কোন কোন ফল একসাথে মেশানো উচিত নয় জানুন
এছাড়া, নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির একাধিক গুরুদ্বারে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। অবৈধভাবে মার্কিন মুলুকে বসবাসরত শিখ সম্প্রদায়ের লোকদের চিহ্নিত করার জন্য এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এই অভিযান আমেরিকান প্রশাসনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী করা হচ্ছে, যেহেতু এখন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সিং এই পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “অমৃতসরকে নির্বাসন কেন্দ্র বানানো উচিত নয়।” এই আবহে, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, যারা পঞ্জাবের বাসিন্দা, তাদের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য সরকার গাড়ির ব্যবস্থা করবে।