ব্যুরো নিউজ ১০ নভেম্বর : বৈদিক ক্যালেন্ডারের অনুসারে প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশীতে পালিত হয় তুলসী বিবাহ। এটি এমন একটি উৎসব যা দেবোত্থানী একাদশীর পরবর্তী দিন পালিত হয়। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় এই দিনটি ভগবান বিষ্ণু ও তুলসী মায়ের বিবাহের দিন। ধর্মীয় মতে, তুলসী বিবাহ এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, যা বিবাহিত জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি নিয়ে আসে।
শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন এই লাভার্স পয়েন্ট থেকে। কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা
তুলসী বিবাহ হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ
এই বছর, ১৩ নভেম্বর তুলসী বিবাহ উদযাপন হবে, যা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই দিনটি জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে। উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের শ্রী সাচ্চা অখিলেশ্বর মহাদেব মন্দিরের পুরোহিত শুভম তিওয়ারি বলেন, “তুলসী বিবাহ হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ।” তারা বলেন, এই দিনটিতে উপাসনা ও উপবাস করলে সকল বাধা দূর হয় এবং পরিবারের মধ্যে সুখ ও শান্তি আসে।তুলসী বিবাহের দিন একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, যা ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উপকারে আসতে পারে। যেমন, যদি আপনি বিবাহিত জীবনে সমস্যায় ভুগছেন বা প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অসন্তুষ্ট, তবে তুলসী বিবাহের দিন আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মঙ্গলাষ্টক পাঠ করা অত্যন্ত শুভ। এটি সম্পর্কের মধ্যে মধুরতা এবং ইতিবাচকতা নিয়ে আসে।এছাড়া তুলসী বিবাহের দিন ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে মা তুলসীর সামনে ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর ব্যবস্থা করুন। এটি ঘরের পরিবেশে পবিত্রতা নিয়ে আসে এবং আর্থিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
তুলসী বিবাহকে দেবোত্থানী একাদশীর পর শুভ কাজের সূচনা হিসেবে মনে করা হয়। এটি এক ধরনের বিশেষ আধ্যাত্মিক উৎসব, যা বাড়িতে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। ২৪ নভেম্বর, শুক্রবার, এই বছরের তুলসী বিবাহ পালিত হবে। এই দিনে, দেবী লক্ষ্মীর রূপ তুলসী এবং ভগবান বিষ্ণুর রূপ শালগ্রামকে পূজা করা হয় এবং তাঁদের বিবাহের আয়োজন করা হয়।