ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি: দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার এক শ্রেণির মানুষের সঙ্গে ‘ভীষণ বাজে’ আচরণ করা হচ্ছে এবং জমি জবরদখল করা হচ্ছে। এই ঘটনায় তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমেরিকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনো ধরনের সাহায্য দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় থেকেই ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে তখন আলোচনা শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, প্রচুর শ্বেতাঙ্গ কৃষককে হত্যা করা হয়েছে এবং তাঁদের জমি জবরদখল করা হয়েছে।
উদিত নারায়ণের চুমু কাণ্ডঃ বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন অভিজিৎ ভট্টাচার্যও
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কি লিখেছেন?
যদিও এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি, তবুও ট্রাম্প সেই সময় ওই দাবিগুলির তদন্ত করার জন্য আমেরিকান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার, তাঁর দ্বিতীয় জমানায়, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদিও সরাসরি শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলেননি।ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা বিশেষ কিছু মানুষের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করছে এবং তাদের জমি দখল করছে। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা সবার চোখের সামনে ঘটছে।” এরপর, তিনি বলেন, “আমেরিকা এই ধরনের আচরণকে সমর্থন করে না এবং আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
তাঁর হুঁশিয়ারির পর ট্রাম্প জানিয়ে দেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকার এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমেরিকা তাদের সব আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেবে।প্রতিবছর, আমেরিকা দক্ষিণ আফ্রিকায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য পাঠায়। হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৪ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়েছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানুয়ারি মাসে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার নির্বাচন শেষে ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথাও হয়েছে এবং তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের দুর্দান্ত জয়ঃ অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারাল ভারত
তবে ট্রাম্পের এই নতুন হুঁশিয়ারির পর, কূটনৈতিক মহলে এখন নানা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, ট্রাম্পের আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) এর মাধ্যমে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলিতে আর্থিক সাহায্য ৯০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর কী পদক্ষেপ নেয় এবং তার ফল কী হয়।