ব্যুরো নিউজ, ২৩ সেপ্টেম্বর :বাঙালির ছুটি কাটানোর জনপ্রিয় গন্তব্য যেমন দিঘা, পুরী এবং দার্জিলিং, তেমনই এক সময় পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন স্থানও ছিল বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে দেওঘর, মধুপুর, নেতারহাট, রাঁচি ও ঘাটশিলা। এর মধ্যে একটি স্থান রয়েছে যেখানে সাহেবদের আগমন ছিল বেশি—ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। বিহারের অন্তর্গত এই মনোরম জায়গাটি এখন ঝাড়খণ্ডের অংশ।
পুজোয় ঘুরে আসুন এবার পাহাড়ের মাঝে অপূর্ব সৌন্দর্য কনকচৌরি
কি ভাবে যাবেন তাই তো?
ম্যাকলাস্কিগঞ্জ শহরের থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে পাত্রাতু ঘাট অবস্থিত, যেখানে রয়েছে দারুণ সর্পিল পাহাড়ি পথ ও ভিউ পয়েন্ট। দামোদরের উপর গড়ে ওঠা পাত্রাতু বাঁধের সৌন্দর্য অনন্য। প্রকৃতি প্রেমীরা শাল, সেগুন এবং মহুয়া গাছের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এই অঞ্চলে আদিবাসী মুণ্ডা ও ওঁরাও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে।
পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তা হলে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা
ম্যাকলাস্কিগঞ্জের বিশেষত্ব হল এখানকার আবহাওয়া। সারা বছরই এখানে যাওয়া যায়। পুজোর সময় বাতাসে এক শীতল অনুভূতি থাকে, বসন্তে গাছে ফুটে ওঠে লাল পলাশ, শিমূল ও কৃষ্ণচূড়া। হলুদের স্পর্শ পাওয়া যায় রাধাচূড়া ও সোনাঝুরির জন্য, আর জাকারান্ডা গাছের বেগুনি রং এই সাহেবি গঞ্জকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
পুজোর আগে ঘুরে আসতে পারেন ওড়িশার ডুডুমার জলপ্রপাত
হাওড়া থেকে ট্রেনে রাঁচি পৌঁছে নিতে হবে। সেখান থেকে মাত্র ৬৪ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন ম্যাকলাস্কিগঞ্জে। এখানে বেশ কিছু আরামদায়ক রিসর্ট, ইকোভিলেজ এবং কান্ট্রি কটেজ রয়েছে, সবই জঙ্গলের ভিতরে। প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা এই স্থানটি আপনাকে শান্তি ও প্রশান্তি দেবে।