ব্যুরো নিউজ,২০ নভেম্বর:লোকসভা ভোট শেষ হওয়া ছ’মাস হয়ে গেলেও, বিধানসভা নির্বাচন এখনও প্রায় দু’বছর দূরে। তবুও, তৃণমূল ইতিমধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শাসকদলের বিধায়কেরা লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে, বিধানসভা ধরে ধরে জনসংযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। এটি দেখে বিজেপি নেতারা চ্যালেঞ্জ ও কটাক্ষ করেছেন।
কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি বাঁচাতে চালকদের দাবি
শাসকদল প্রতিশ্রুতি কি দিয়েছে?
হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, ভোট পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায় যে, তৃণমূল প্রার্থী রচনা চুঁচুড়া, বলাগড় এবং সপ্তগ্রাম বিধানসভায় পিছিয়ে ছিলেন। বিশেষ করে চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রায় সাড়ে আট হাজার ভোটে তৃণমূলকে হারিয়েছে। এ অবস্থায়, তৃণমূলের লক্ষ্য হল, তাদের হারানোর কারণগুলির অনুসন্ধান করা এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছানো।তৃণমূল সূত্রে খবর, এর জন্য বিধায়কেরা সরাসরি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সমস্যাগুলি শুনবেন। এ ছাড়া, ওই এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির আচরণ কেমন ছিল, সেবায় কোনো ত্রুটি ছিল কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। একইভাবে, বিজেপির ‘লিড’ পাওয়া বুথগুলির ভোটারদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কীভাবে পাচ্ছে, সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি কোনো ভুল বা ত্রুটি পাওয়া যায়, তবে তা শীঘ্রই সংশোধন করা হবে বলে শাসকদল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
দিল্লির দূষণ: বিপদ এখনও কাটেনি, কৃত্রিম বৃষ্টি চাইছেন মন্ত্রী
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘যে এলাকাগুলোতে ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলাম, সেখানে সেখানে জনসংযোগ বাড়ানো হবে। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে ওই এলাকায় যাওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে কিছু জায়গায় পিছিয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু ২০২১ সালে আমরা তা পুনরুদ্ধার করেছি। এবারও আমরা ২০২৬ সালে পিছিয়ে পড়া জায়গাগুলো পুনরুদ্ধার করব।’ বিজেপি এই উদ্যোগের সমালোচনা করে রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল মন্তব্য করেছেন, ‘তিনবারের বিধায়ক এখন বলছেন জনসংযোগ করবেন! তাহলে এতদিন মানুষের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না?’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘তৃণমূল সরকার দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। ২০২৬ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে ব্যাপকভাবে হারানো হবে।’