ব্যুরো নিউজ, ১৫ অক্টোবর :ভারতের রেলে ট্রেন দেরিতে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা দেরি হওয়া সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে অনেক যাত্রী গুরুত্বপূর্ণ কাজে ট্রেনের যাত্রা এড়িয়ে যান। তবে মাঝে মাঝে ট্রেনই একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে। ট্রেনের দেরি হলে যাত্রীরা অভিযোগ জানাতে পারেন। সম্প্রতি এমনই একটি অভিযোগের ভিত্তিতে রেলের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন একজন যাত্রী, যা অন্য যাত্রীদের জন্য একটি নজির হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণইস্তফার আবহে শুভেন্দুর কার্নিভাল বয়কটের আহ্বান, রাজনীতিতে চাঞ্চল্য
৪৫ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ
মধ্য প্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা অরুণ কুমার জৈন ২০২২ সালের ১১ মার্চ জব্বলপুর থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনের আসার কথা ছিল বিকাল ৩টে ৩০ মিনিটে এবং পরদিন ভোর ৪টে ১০ মিনিটে হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছানোর কারণে তার যাত্রা পরিকল্পনা ভেস্তে যায় এবং পরবর্তী ট্রেনটি মিস হয়ে যায়।
একাদশীতে অনশন আন্দোলন জারি, জুনিয়র ডাক্তারদের চাপের মধ্যে রাজ্য সরকার
অরুণ কুমার কনজিউমার ফোরামের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তিন বছরের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে তিনি ন্যায়বিচার পান। রেল দফতর নিজেদের পক্ষ থেকে সওয়াল করলেও কোনও কার্যকরী প্রমাণ দিতে পারেনি। কনজিউমার ফোরাম রেলকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এর মধ্যে টিকিটের দাম, মানসিক হয়রানির জন্য ৫,০০০ টাকা এবং মামলার খরচ বাবদ ২,০০০ টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলকে, বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে সুদ সহ।