সান্দাকফু

ব্যুরো নিউজ, ২২ অক্টোবর :ট্রেকিং প্রিয় মানুষদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ জায়গার সন্ধান। যারা দু-একদিনের ছুটি পান তারা অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ের বুকে থাকা স্বর্গীয় সান্দাকফু থেকে।সান্দাকফুতে যাওয়ার জন্য পাড়ি দিতে হবে ভারতের অন্যতম কঠিনতম রাস্তা। এই জায়গায় পৌঁছাতে হলে আপনার সামনে মেঘের স্তরের ওপরের এক অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী হতে হবে। স্লিপিং বুদ্ধার রেঞ্জের অপূর্ব সৌন্দর্য আপনার জীবনকে এক অন্য মাত্রা দেবে। এখানে প্রবেশ করলেই আপনাকে মুগ্ধ করবে পাহাড়ি গাছ, সবুজ বন এবং নানা প্রজাতির অর্কিডের সমাহার।

পাসপোর্ট ছাড়াই সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াতে পারেন এরা ! কারা জানেন ?

প্রকৃতির মধ্যে হারান

বরফে ঢাকা পাহাড়ের মাথায় যেন কেউ সাদা তুলো ফেলে রেখেছে। মেঘের ফাঁকে সূর্যের রোদ আপনাকে পথ দেখাবে। তরুণ হিমালয়ের আর রোডোড্রেনড্রনের দেশে সান্দাকফু থেকে ফিরে আসার পর মনে হবে যেন আপনি নতুন করে জীবন পেলেন।

হাওড়ার ঘুসুড়িতে ছাদ ভেঙে প্রাণ গেল চার শ্রমিকের

সান্দাকফু পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং এটি ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত। ট্রেকারদের জন্য এটি যেন এক স্বর্গ। যত উপরে উঠবেন, তত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। মেঘের রং পাল্টে যায় চারপাশে, আর সৌন্দর্য যেন বর্ধিত হতে থাকে।

যদি আপনি পাহাড় পছন্দ করেন এবং প্রথমবার ট্রেক করতে চান, তবে সান্দাকফু এক আদর্শ গন্তব্য। আপনি পায়ে হেঁটে কিংবা গাড়িতে যেতে পারেন, তবে পায়ে হেঁটে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। ১১,৯২৯ ফুট উচ্চতায় কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে গেলে সান্দাকফুতে যেতেই হবে। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই ট্র্যাক বন্ধ থাকে, কিন্তু বছরের বাকি সময়ে এটি সকলের জন্য খোলা থাকে। তবে মনে রাখতে হবে, সান্দাকফু ট্রিপ সহজ নয়। একে “ইজি মডারেট ট্র্যাক” বলা হয়। কিছু জায়গা সহজ হলেও কিছু জায়গায় চড়াই উতরাইয়ের অভিজ্ঞতা নিতে হবে।

এইবার পুজোতে ঘুরে আসুন পাহাড়ের কোলে কালিম্পঙের লুংসেলে

প্রতি দিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার হাঁটার প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি বাইক নিয়ে যেতে চান, তাহলে বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন। শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গের যেকোনো ট্রেনের টিকিট কেটে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামুন। এরপর সেখান থেকে গাড়ি বুক করে মানেভঞ্জনে চলে যান, যেখানে ট্র্যাক শুরু হবে।

প্রথম দিন রাতে ট্রেনে উঠলে পরের দিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যাবেন। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে মানেভঞ্জনে পৌঁছে ঘুরে দেখুন। শরীরকে পাহাড়ি উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু সময় বিশ্রাম নিন। গাইডের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে তিনি আপনাকে এখান থেকেই সঙ্গে নেবেন। পাহাড়ের এই অভিজ্ঞতা আপনাকে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাবে এবং সান্দাকফু বাংলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় হিসেবে আপনার মনে চিরকাল স্থায়ী হবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর