ব্যুরো নিউজ ১৯ অক্টোবর : সম্প্রতি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারীকেন্দ্রিক ঘটনার পর থেকে টলিউডের বেশ কিছু অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা প্রতিবাদে কণ্ঠ তুলে ধরেছেন। চৈতী ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, এবং তনিকা বসু—এরা প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ। অভিনেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তও এই প্রতিবাদের সঙ্গে রয়েছেন।
তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডঃ নিরাপত্তার দাবি ও সিবিআই তদন্ত
প্রতীকী অনশনে বসতে চলেছেন অভিনেত্রীরা
এবার, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে তারা ধর্মতলায় প্রতীকী অনশনে বসতে চলেছেন। শনিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে পুরো দিনব্যাপী এই অনশন চলবে। জানা গেছে, তারা এই সময় জল এবং প্রয়োজনে ওষুধ ছাড়া কিছু খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।এই প্রতিবাদ সম্পর্কে চৈতী ঘোষাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “এটা শুধু চিকিৎসকদের জন্য নয়; বরং এটা আমাদের সকলের জন্য। আমরা সবাই নিরাপদ কর্মস্থল চাই। আমরা চাই না, ভেজাল ওষুধ বিক্রি হোক, অথবা থ্রেট কালচার চালু থাকুক।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “এই প্রতিবাদটি তিলোত্তমা এবং কৃষ্ণনগরের ঘটনার বিরুদ্ধে। আমরা চাই, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।”গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে এক তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর আসে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।বর্তমানে এসএসকেএম, কেপিসি মেডিক্যাল এবং কলকাতা মেডিক্যালের বিভিন্ন জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকজন ডাক্তার হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যা রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবাদ এবং আন্দোলনকে আরো জোরদার করার জন্য শিল্পীরা এই প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করছেন।
খেলো ইন্ডিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী: উদয়নিধি
যদি চিকিৎসকদের কোনও ক্ষতি হয়, তা বাংলার মুখ তথা সারা দেশের কাছে ভালো হবে না বলেও চৈতী ঘোষাল মন্তব্য করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই সরকার আমাদের দাবি শুনুক এবং মানবিক দিকটি দেখুক।”