ব্যুরো নিউজ,২৩ আগস্ট: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরেই তৃণমূল সাংসদ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত।’ তারপর থেকেই তাকে একেবারে নীরব দেখা গিয়েছে। আর তার এই নীরবতা নিয়ে দলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।
ফের কি বললেন অভিষেক?
দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের গুরুদায়িত্ব থেকে সরে এসেছে অভিষেকের দপ্তর। সেই জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারজনকে এই মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে নতুন কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। অভিষেকের ‘চুপ’ করে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তত্ত্ব সামনে উঠে আসছিল। দল এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন বলেও অনেকে বলতে শুরু করেন। এবার সিবিআই এর হাতে তদন্তভার যাওয়ার পরে আবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এনকাউন্টার তত্ত্ব থেকে সরে গেলেন তিনি। এবার বললেন, ‘ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইন তৈরি করা উচিত।’ ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তির দাবি তুলেছেন অভিষেক।
কেন্দ্র বন্ধ করল বিদ্যুৎ আধুনিকীকরণের টাকা
অভিষেকের এক্স হ্যান্ডেলের এই পোস্টে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নক্কারজনক ঘটনাকে নিন্দা করে প্রতিবাদ হচ্ছে। এই প্রতিবাদকে তৃণমূল সরকার বিরোধী বলে আখ্যা দিতেই দেখা যাচ্ছে।এবার অভিষেক বলছেন, এটা সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘনিত হচ্ছে। সারা দেশে গত দশ দিনে ৯০০ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেছেন। যেটা চরম নিন্দার যোগ্য। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর অভিষেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ৫০ দিনের ভেতরে ধর্ষকের ‘বিচার এবং ফাঁসির’ দাবি তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আরজি কর ঘটনার পর প্রথম অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। এবার মমতার সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেল অভিষেককে। তাহলে কি আগের এনকাউনটার তত্ত্ব থেকে সরলেন তিনি? সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন পর অভিষেকের এই পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।