ব্যুরো নিউজ, ২১ মে : কয়লা চুরি, চাকরি চুরি, রেশন চুরির মত বালি চুরিরও অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তবে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে যেমন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছিল। তেমনই বালি মাফিয়াদের তদন্তে নেমেও আক্রান্ত হয়েছিল সরকারী আধিকারিকরা। আর এই অভিযোগও উঠে এসেছে একাধিকবার।
আবারও ‘হামলা’র আশঙ্কা! রামকৃষ্ণ মিশনে হামলায় প্রতিবাদের সুর কার্তিক মহারাজের
বালি পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। রাতের অন্ধকারে তো দূর! প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ ভাবে চলছে বালি তোলার কাজ। আর এই অভিযোগ তুলে বারবার সরব সেখানকার মানুষ। অভিযোগ, মালদহর রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর ঘাটের ফুলহর নদী থেকে দেদারে বালি তোলা হচ্ছে এবং তা সকলের সামনেই। আর এই অভিযোগে নাম উঠে এসেছে এক তৃণমূল নেতার।
জানা গিয়েছে, যে তৃণমূল নেতার নাম উঠেছে বালি পাচারের অভিযোগে তিনি হলেন রাজু সিংহ। তিনি তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি। ফুলহর নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগে তদন্তে নামে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। আর তারপরেই উঠে আসে সেই ‘প্রভাবশালী’ তৃণমূল নেতার নাম।
সেখানকার স্থানীয়রা জানাচ্ছে, বিগত কয়েকদিন ধরে ফুলহর নদী থেকে দেদারে বালি তোলা হচ্ছে। আর এর ফলে নদীর ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচজেম তেমনই পাশে থাকা আর্সেনিক জলের প্লান্ট এবং নদীবাঁধ এই দুইয়েরই ক্ষতি হচ্ছে। এমকি সেখানকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, রাজু সিংহ ট্রলি পিছু ১০০ টাকা করে নেয়।
তবে প্রতিবারের মত এবারও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি রাজু সিংহ কার্যত সেই অভিযোগ এক প্রকার উড়িয়ে দেন। উল্টে তিনি দাবি করেন, কাহালা আসুটোলা থেকে বাহারাল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পথশ্রীর কাজ চলছে। ফুলহর নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি জমে যায়। ফলে জমির মালিকরা চাষবাস করতে পারে না। সেই জমির উপরের বালি অংশটা তাঁদেরকে কেটে ফেলতে হয়। এই পথশ্রী প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জমির মালিকের কাছে ন্যায্যমূল্য দিয়ে এবং সরকারি খাজনা কেটে বালি কিনে নিচ্ছেন এমনটাই দাবি করেন রাজু সিংহ।