ব্যুরো নিউজ,৪ আগস্ট: বাংলার থিয়েটার গ্রুপগুলো কেন্দ্রীয় অনুদানের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বেশ কিছু নাট্যদল এবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে আর অনুদান পাবে না বলেই জানা গিয়েছে। রেপার্টরি অনুদান (Repartry Donation) বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। ১ আগস্ট মন্ত্রকের এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে রাজ্যের কিছু নাট্যদলের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
নাট্যদলের অনুদান বন্ধ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ শমীকের বক্তব্য
বাজেটে বাড়েনি ট্যাক্স,তবুও ভান্ডার ভরতে মদেই ভরসা রাজ্যের, বাড়তে চলেছে দাম
তবে শুধু বাংলা নয়, দেশের অনেক নাট্য দলের উপরেই কোপ পড়েছে। কলকাতা এবং বাংলার অন্যান্য জেলা মিলিয়ে ১০ টি দল রয়েছে। আবার নতুন ২০টির মতো নাট্যদলকে তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেগুলি জেলায় কাজ করা নাটকের দল। আর কলকাতাকেন্দ্রিক নামী দলগুলো বাদ যাওয়াতে যত ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মেঘনাদ ভট্টাচার্য। তার দল ‘সায়ক’ দীর্ঘ সময় ধরেই কেন্দ্রীয় অনুদান পায়। মেঘনাথ বলেন, দলের ১৮ জনের টাকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার নাট্যদল সংসৃতির দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১২ বছর ধরে তারা অনুদান পাচ্ছিলেন। তাদের ১৭ জনের অনুদান বন্ধ করা হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত বিষয়ে দিল্লি গিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ এবং মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
এইবার পূজোতে ঘুরে আসুন পাহাড়ে ঘেরা জঙ্গলে দলমা পাহাড়ে
এই প্রসঙ্গে শমীক বলেন, আমি নাটকের নিয়মিত দর্শক। অনেকের সঙ্গেই ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে। তাছাড়া বিজেপি অন্যান্যদের মতো “ওরা- আমরা” সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। যারা অনুদান পাওয়ার যোগ্য, তারা যাতে পান সেটা প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তবে শমীক এও জানান, কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি হয়েছে জানা নেই। বিজেপির এই বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। চেষ্টা করব সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার। প্রসঙ্গত, চলতি বাজেট অধিবেশনে সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে রাজ্যে নাটকের দলগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। বাংলায় এরকম কত দল কত টাকা অনুদান পায় বা যাদের প্রয়োজন তাদের পরিমাণ বাড়ানো যায় কিনা, সেই বিষয়েও প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন শমীক।