ব্যুরো নিউজ ১ অক্টোবর: মানুষের অসুবিধার কারণ হয়ে রাস্তার মাঝে মন্দির, দরগা বা গুরুদ্বার থাকতে পারে না। বুলডোজ়ার সংক্রান্ত মামলায় এমনই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি একটি অপরাধ মামলায় অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
সিবিআইয়ের নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ঃ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের পরিকল্পনা
কেন এমন রায় দিল হাইকোর্ট
১৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, আগামী ১ অক্টোবরের পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দেশের কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন বেআইনি নির্মাণ ভাঙার যুক্তি দিয়ে বুলডোজ়ার চালাতে পারবে না। তবে, সরকারি রাস্তা, জলাশয়, রেললাইনের ধার বা ফুটপাথ জবরদখল করে গড়ে ওঠা বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই।মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ মন্তব্য করেন, “ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমাদের নির্দেশ সব ধর্ম এবং গোষ্ঠীর জন্য।” তাঁরা যোগ করেন, “যদি মন্দির, গুরুদ্বার বা দরগার মতো কোনও ধর্মীয় কাঠামো রাস্তার মাঝে থাকে, তবে তা সরিয়ে দেওয়া উচিত। জনগণের সুরক্ষা সব কিছুর ঊর্ধ্বে।”এই শুনানিতে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন ছিল, অপরাধ মামলার কারণে কি কারও বিরুদ্ধে বুলডোজ়ার চালানো সম্ভব? তুষার মেহতা জানান, এ ক্ষেত্রে আগাম নোটিস দেওয়া উচিত এবং স্বচ্ছতার জন্য রেজিস্টার্ড পোস্টের মাধ্যমে নোটিস পাঠানো উচিত।
যৌন হেনস্তা অভিযোগে হাইকোর্টের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদেশ
উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহান প্রশাসনের সময়েও বুলডোজ়ারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর সরকারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে।