ব্যুরো নিউজ,২১ অক্টোবর:দিল্লির সিআরপিএফ স্কুলের কাছে ২০ অক্টোবর সকালে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি একত্রিত হয়ে বিস্ফোরণের কারণ জানার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় খলিস্তানি যোগ থাকতে পারে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, খলিস্তান ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই ভেঙে গেছে।
অনিল কাপুরের বাড়িতে জমকালো করওয়া চৌথের উৎসব
একটি “শকওয়েভ” তৈরি হয়
বিস্ফোরণ ঘটেছে রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে, প্রশান্ত বিহার এলাকায়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটি কর্তৃপক্ষকে “বার্তা” দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় এজেন্টদের অপারেশনের প্রতিশোধ নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সেই পোস্টে “খলিস্তান জিন্দাবাদ” লেখা রয়েছে এবং এতে বলা হয়েছে, “ভারতের গুন্ডা পাঠানো এজেন্টরা যদি মনে করে আমাদের চুপ করাতে পারবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন। আমরা যেকোনও সময় হামলা চালাতে পারি।” বিস্ফোরণের পর তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ, এনআইএ, সিআরপিএফ, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)। ঘটনার পর এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে এবং রাসায়নিকের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিস্ফোরণে কেউ আহত হয়নি, কিন্তু তার তীব্রতা এতটাই ছিল যে সিআরপিএফ স্কুলের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং বেশ কিছু জানালার কাচও ভেঙে যায়।
কিঞ্জল নন্দের জন্মদিনে স্ত্রী নম্রতার বিশেষ শুভেচ্ছা
বিস্ফোরণস্থলে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং মোবাইল টাওয়ার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরকটি এমনভাবে রাখা হয়েছিল যাতে ১০ ফুট দূরত্বে একটি “শকওয়েভ” তৈরি হয়।এই বিস্ফোরণের পেছনে যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে। খলিস্তানি যোগের বিষয়টি তদন্তকারীদের জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।