ব্যুরো নিউজ, ৬ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার একটি বিখ্যাত মেলা হল ঠাকুরনগরের মেলা বা ঠাকুরনগর মতুয়া আদর্শ হিন্দুদের মহামেলা। প্রতিবছর চৈত্র মাসে হয়ে থাকে এই মেলা। টানা সাত দিন ধরে চলে এই মেলা। এই মেলায় আশেপাশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মতুয়া হিন্দু ভক্তেরা যোগ দেন। এমনকি পরশিদেশ বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকেও আসে বহু ভক্ত। কামনা সাগরে ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান করেন ভক্তরা।
প্রতি বছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধু কৃষ্ণত্রয়োদশীতে পুণ্যস্নানের দিন থেকে ওই মেলা শুরু হয়। মধু কৃষ্ণএয়োদশীতে পুন্যস্নানের পুণ্যতিথিতে ভক্তরা কামনা সাগরে ডুব দেন। অনেকেরই বিশ্বাস যে এই তিথিতে কামনা সাগরে স্নান করলে নাকি মনের কামনা পূরন হয়।
বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক | কী বলছেন বাংলাদেশীরা?
১৮৯৭ সালে বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে এই মেলার সূচনা হয়। এরপর ভারতের স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালে ঠাকুরনগরের প্রমথরঞ্জন ঠাকুর এই মেলার সূচনা করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরই চৈত্র মাসে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। তবে করোনা কালে ২০২০ সালে মেলাটি স্থগিত করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে পুনরায় মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এই মেলা হয়ে আসছে। এবছরও চলছে ঠাকুরনগরের মেলা। (উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা তথ্য)
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের
তবে এবছর ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্মালম্বীদের বারুনি মেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও তার মধ্যেই চলে জোর কদমে মেলার প্রস্তুতি। বিপুল পরিমাণ ভক্তদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্তও করা হয় এই মেলায়। আর আজ সকাল থেকেই লক্ষ লক্ষ ভক্তদের ভিড় বারুণী মেলায়। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রয়েছে পুলিশি ব্যবস্থা। ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে ঠাকুরনগর মতুয়া আদর্শ হিন্দুদের মহামেলা।