ব্যুরো নিউজ, ২১ নভেম্বর : উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের সামনে চরম সংকট। চা পর্ষদের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী চলতি বছরে ৩০ নভেম্বরের পর আর চা পাতা তোলা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তরাই ও ডুয়ার্সে চা উৎপাদন ৩৯ মিলিয়ন কেজি কমে যাবে বলে দাবি চা বণিক সভাগুলোর। ক্ষুদ্র চা চাষিরা জানাচ্ছেন, তিন মাস চা উৎপাদন বন্ধ রেখে বাগান চালানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই অনেকের। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে বাগান বন্ধ রাখবেন।
সান্দাকফুতে কলকাতার পর্যটক আশিস ভট্টাচার্যের মৃত্যু, প্রশাসন কড়া নিয়মের পরিকল্পনায়
চা শিল্প ভয়ংকর সংকটে পড়েছে
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেছেন “চা শিল্প ভয়ংকর সংকটে পড়েছে। অতিবর্ষণ এবং তাপদাহে ফার্স্ট ও সেকেন্ড ফ্ল্যাশ মার খেয়েছে। এর মধ্যে ৩০ নভেম্বরের পর পাতা তোলা বন্ধ করার নির্দেশ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। উত্তরে শীত জাঁকিয়ে বসে সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। কিন্তু নির্দেশটি বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই দেওয়া হয়েছে।”জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের কর্ণধার রজত কার্জি জানান এবছর চা শিল্পের উপর তাপদাহ এবং প্রবল বৃষ্টির প্রভাব মারাত্মক ছিল। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি। গত বছর যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত চা পাতা তোলার সুযোগ ছিল। এবার তা ৩০ নভেম্বরেই বন্ধ করার নির্দেশে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়বে চাষিরা।
ঝাড়খণ্ড আর মহারাষ্ট্রে ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, মহারাষ্ট্র নিয়ে তিনি নীরব
পুজোর পর কিছুটা ভালো মানের পাতা উৎপন্ন হলেও ৩০ নভেম্বরের সময়সীমা পেরোলে এই পাতা আর কাজে লাগানো সম্ভব হবে না। রজতবাবু বলেন, “চা পর্ষদকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। চা শিল্পকে বাঁচাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।”এই পরিস্থিতিতে চা শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গের চা চাষিরা। নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে চা চাষিদের বিভিন্ন সংগঠন।