ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।ট্যাব কেলেঙ্কারি চক্রের সঙ্গে জড়িত মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় পুলিশের অভিযানে আরও চার জন গ্রেফতার হয়েছেন।এর আগে একই অভিযোগে মালদহ থেকে একজন এবং উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে এককালীন ১০ হাজার টাকা পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়, যাতে তারা ট্যাব কিনতে পারে।
মিঠুন চক্রবর্তীর মানিব্যাগ চুরিঃ বিজেপির মঞ্চে বড় অস্বস্তি!
ট্যাব কেলেঙ্কারি চক্র
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ৩০০-রও বেশি ছাত্রছাত্রীর টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছায়নি। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে, এক ছাত্রের টাকা অন্য ছাত্রের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে, ট্যাব কেনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য একটি বড় প্রতারণা চক্র গড়ে ওঠে, যার মধ্যে সাইবার ক্যাফে ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফন্দি আঁকা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, নতুন যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রকি শেখ, পিন্টু শেখ, শ্রবণ সরকার এবং জামাল শেখ রয়েছেন। তাদের সবারই সাইবার ক্যাফে রয়েছে, এবং সেই সাইবার ক্যাফে থেকেই তারা এই প্রতারণা চক্র চালাত। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার পর, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ, ডায়েরি এবং ব্যাঙ্কের নথি।
উত্তরবঙ্গে আবার ভূমিকম্পঃ সিকিমে অনুভূত কম্পন, তীব্রতা ৩.৫
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরও অনেকেই এই ট্যাব কেলেঙ্কারি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, তাদের খোঁজ চলছে। মঙ্গলবার রাতেই এই চার অভিযুক্তকে বৈষ্ণবনগর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এবং পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, হাসেম আলি নামে একজনকে বৈষ্ণবনগর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল, যিনি নিজেও একটি সাইবার ক্যাফে পরিচালনা করতেন। এছাড়াও, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে আশারুল হোসেন, সাদিক হোসেন এবং মোবারক হোসেনের নাম উঠে এসেছে।