supreme-court-security-questions-contract-workers

ব্যুরো নিউজ,১৭ সেপ্টেম্বর:মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির সময়ে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তোলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। শুনানির মধ্যে, প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?চরাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, চিকিৎসকদের জন্য শৌচাগার এবং হাসপাতালের ভিতরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে ১৪ দিনের মধ্যে। পাশাপাশি, ‘রাত্রি সাথী’ নামের একটি বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে যা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় এই প্রসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন।

রূপচর্চায় ব্যয় না করে ত্বকের যত্ন নিন এই পানীয় দিয়ে

প্রধান বিচারপতি কি বললেন?

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ ছিল একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তো? নিরাপত্তার অভাবই এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছে। আর এবার চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হবে?’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘৩৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করে যাওয়া ডাক্তারদের জন্য এমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেন? রাজ্যের এ বিষয়ে ভাবনা উচিত। কীভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করতে পারে রাজ্য?’সুপ্রিম কোর্ট হাসপাতাল গুলিতে অন্তত পুলিশ সদস্য রাখার পরামর্শ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্যে ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ এবং ১৭টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে ১৮-২৩ বছর বয়সি তরুণীরা কাজ করছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী যথেষ্ট নয়। সরকারি হাসপাতালে কমপক্ষে পুলিশকর্মী থাকা উচিত।’

সলমন খান নিয়ে ভুয়ো খবর: সাবধান করেছেন আপ্তসহায়ক জর্ডি পটেল

রাজ্যের আইনজীবীকে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছে যে, স্বাস্থ্যসচিবকে জানাতে হবে মহিলা ডাক্তারদের বিশ্রামগারে বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে। রাজ্য জানিয়েছে, সকল সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষ এবং সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালে ৪১৫টি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা পূর্বে ছিল মাত্র ৩৭টি ছিল।প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই পরিবর্তন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বর্তমানে ৪১৫টি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হচ্ছে। আগে কেন মাত্র ৩৭টি ছিল?’ রাজ্য সরকারের কাছে তিনি প্রশ্ন করেছেন, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর