ব্যুরো নিউজ,২১ আগস্ট: আর জি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ একেবারে কড়া প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। একের পর এক পুলিশ, প্রিন্সিপালসহ রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। FIR দায়ের করতে এতো দেরী হলো কেন? প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের।
প্রতিবাদী চিকিৎসককে মার। গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
পুলিশের ভূমিকা নিয়েও রীতিমতো ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট।শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আরজি করের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।নারীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয় এটি’।তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি।সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে আরজি কর হাসপাতালে মব অ্যাটাক প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, ১৪ আগস্ট রাতে ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ থাকা সত্ত্বেও মব অ্যাটাক হলো কিভাবে? পুলিশ কি করছিল? প্রধান বিচারপতি বলেন, ক্রাইম সিন প্রটেক্ট করা পুলিশের প্রধান কাজ। এখানে সেটাই করা গেল না। নিরাপত্তার অভাবে হস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নার্স এবং চিকিৎসকরা।
বিভ্রান্তিকর অবস্থা তৃণমূলে!’মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট’করবেন কারা?যা জানা গেল
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর কান্ডের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, হাসপাতালে এবং হস্টেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিআইএসএফ মোতায়েন করতে হবে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় বহু নার্স এবং চিকিৎসক হাসপাতালের হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন ইন্টার্ন, জুনিয়র চিকিৎসক, চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা। তারা বারেবারে নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছিলেন। কারণ ১৪ আগষ্ট মধ্যরাতে যখন আরজিকর হাসপাতালে একদল দুষ্কৃতী দীর্ঘক্ষণ ধরে হামলা এবং তাণ্ডব চালায়, হাসপাতালে জিনিসপত্রের ক্ষতি করে, সেই সময়ে পুলিশকে সেই ধরনের কোনো অ্যাকশন নিতে দেখা যায়নি। আর এই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এবার সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।