ব্যুরো নিউজ,১৬ অক্টোবর:ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশন নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক চললেও সুপ্রিম কোর্টের মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের দাবি শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, তারা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের মতো বিষয় নিয়ে মূল দিক থেকে সরে যেতে চান না। আরজি করের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা শুরু করেছিল, কিন্তু মামলার পরিসীমা বাড়াতে চায় না। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও একই মন্তব্য করেন।আজ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে একটি তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় ৭ অক্টোবর চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম আছে।
দেশের সবচেয়ে বড় সাত মাছের বাজার কোথায়? জানেন কি আপনি
ডাক্তারদের উপর চাপ কমানো
খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ জানান, কর্মবিরতি আন্দোলন থেকে ডাক্তাররা কাজে ফিরে এসেছে, তবে আট জন ডাক্তার এখনও অনশন করছেন। তিন জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তাররা চান, অনশনের ইতি ঘটুক।ডাক্তারদের দশ দফা দাবি রয়েছে, যার মধ্যে আরজি করের নির্যাতিতার বিচার, স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো, কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা, এবং মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও অন্তর্ভুক্ত। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, ডাক্তারদের সাতটি দাবি ইতিমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টে ইন্দিরা জয়সিংহ আরও জানান, ২০২২ সালের পর থেকে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন না হওয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রধান বিচারপতি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নামে টাকা তোলা : আর্থিক প্রতারণার সতর্কতা
সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল জানান, ৭ অক্টোবর সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে নিয়মিত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার কাজ ৯০ থেকে ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার যে তথ্য দিচ্ছে, তা বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তারা ছবি জমা দিয়েছেন।সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্য সরকারকে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং বেডের সংখ্যা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ডাক্তারদের উপর চাপ কমানো যায়।