ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি:মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা যে কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তা বোঝা গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামসের কথায়। গত বছর ৫ জুন, ৫৯ বছর বয়সী সুনীতা এবং তার সহযাত্রী ৬২ বছরের ব্যারি উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আট দিনের জন্য যাত্রা শুরু করেন। তবে এই আট দিনের যাত্রা দীর্ঘ হতে হতে প্রায় আট মাসে পরিণত হয়েছে। মহাকাশে প্রায় মাধ্যাকর্ষণহীন স্থানে ২৪১ দিন কাটিয়ে তারা এখনও ‘বন্দি’ হয়ে রয়েছেন।
ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খান? কখন এবং কীভাবে খেলে পাবেন সবচেয়ে বেশি উপকার? রইল নিয়ম
‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’
সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটসের নিডহ্যাম হাই স্কুলের পুরনো সহপাঠীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সুনীতা বলেন, “অনেক দিন হয়ে গেছে, এখানে আমি এমন পরিস্থিতিতে আছি যেখানে হাঁটা, বসা, শোওয়া—সব কিছুই যেন ভুলে গিয়েছি। হাঁটার জন্য যে পদ্ধতি তা এখন মনে করার চেষ্টা করছি।” আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, যেখানে সুনীতা ছিলেন, একটি বসবাসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। সেখানে মাধ্যাকর্ষণ অত্যন্ত কম, যা ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ নামে পরিচিত।
সেখানে শোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু পৃথিবী মতো বিছানায় শোয়ার আরাম পাওয়া যায় না। মহাকাশে শোওয়ার সময়, স্লিপিং পডে শুয়ে থাকার অভিজ্ঞতাও একেবারেই আলাদা। হাঁটাচলা এবং বসার ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কারণ মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একেবারে অন্যভাবে কাজ করে। দীর্ঘদিন এই অবস্থায় থাকলে, মানুষের শরীরের কোষগুলি এমন অভ্যাসগুলো ভুলে যায়।
ইসরোর ১০০তম উৎক্ষেপণ সফল হলেও, থ্রাস্টার সমস্যায় ভরাডুবি
সুনীতা এবং ব্যারি মহাকাশে গিয়েছিলেন বোয়িং স্টারলাইনার যানে। যাত্রা শুরু করার কিছু সময় পরই, মহাকাশযানে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যা সমাধান করতে না পারায়, গত সেপ্টেম্বরে মহাকাশযানটি সুনীতা এবং ব্যারির উপস্থিতি ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরে আসে।তবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স-এর মাধ্যমে তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নানা কারণে এই পরিকল্পনা কিছুটা পিছিয়ে গেছে। সব ঠিক থাকলে, সুনীতা এবং ব্যারি মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন স্পেস এক্স-এর যানে, সম্ভবত মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের শুরুতে।