ব্যুরো নিউজ,৫ নভেম্বর:রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের একটি বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে উত্তপ্ত আলোচনা চলছে। সোমবার কাটোয়ায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্নপূর্ণা যোজনার ৩০০০ টাকা পেতে হলে বিজেপির ফর্ম ফিল আপ করতে হবে।’ সুকান্তবাবুর এই মন্তব্যে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন যে, শুধু শাসকদলের সদস্য হলেই সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে? অর্থাৎ, যেসব মানুষ বিজেপির সদস্য হবেন না, তাদের কি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না? এই ধরনের মন্তব্য ভারতীয় সংবিধান অনুসারে কি গ্রহণযোগ্য?
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মল্লিকার্জুন খাড়গের চ্যালেঞ্জঃ আসল সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলুন
রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত
বিরোধী পক্ষের মতে, সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরাসরি জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি অশোভন ও বেআইনি।এদিকে, বিজেপি নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সুকান্ত মজুমদার কখনও বলেননি যে, শুধু বিজেপির সদস্য হলে তবেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। বিজেপির দাবি, সুকান্তবাবু বলেছেন, বিজেপির সদস্যপদ নিয়ে দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে, তারপরেই মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
নৈহাটি উপনির্বাচন এবং অর্জুন সিং কে সিআইডি তলব: শুভেন্দুর আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তাদের “অন্নপূর্ণা যোজনা” চালু করতে যাচ্ছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিজেপির এই প্রকল্পে মহিলারা প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন, যা তাদের পক্ষ থেকে একটি প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি সদস্য সংগ্রহ অভিযান কী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার একমাত্র শর্ত হতে চলেছে? এবং এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ কতটা উত্তপ্ত হবে, সেটাই সময়ই বলবে।