ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:শরীরের জন্য চিনি অনেকটা ছদ্মবেশী বিষের মতো, এমনটাই আমরা শুনে আসছি। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বেশিরভাগ মানুষ খাবারে চিনি কমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু গত কয়েক বছরে করা গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য, বিশেষ করে হার্টের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। তবে সম্প্রতি লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজান জানজি এবং তার দল একটি নতুন গবেষণার মাধ্যমে চিনি এবং হার্টের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলো ফেলেছেন।
টেবিল স্পেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত
নতুন গবেষণা কি বলছে?
গবেষণাটি ২০ বছর ধরে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে ৭০,০০০ জনকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনি এবং হার্টের স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক যতটা সরলভাবে ভাবা হয়েছিল, তা ততটা সহজ নয়। অনেকেই মনে করেন, চিনি কম খাওয়া সবসময় ভালো, কিন্তু এই গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন তাদের ক্যালোরির ৫-৭ শতাংশ চিনি থেকে গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা যেমন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (arrhythmia) হওয়ার ঝুঁকি কম ছিল। তবে যারা ৫ শতাংশের কম ক্যালোরি চিনি থেকে পান করেছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি ছিল।গবেষণায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো চিনি কোথা থেকে আসছে তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। চিনিযুক্ত পানীয় যেমন সোডা, কোলড্রিঙ্ক আমাদের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে, পেস্ট্রি, আইসক্রিম বা চকোলেটের মতো খাবারে উপস্থিত চিনি কম খাওয়া হার্টের জন্য উপকারী হতে পারে।
মোনালি ঠাকুরের বারাণসী কনসার্টে আসলে কি ঘটেছিল সেদিন? অবশেষে প্রকাশ্যে আনলেন গায়িকা নিজেই
গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, ২৫,৭৩৯ জন অন্তত একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত চিনি খেলে ইস্কেমিক স্ট্রোক বা অ্যাবডোমিনাল অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজমের মতো গুরুতর সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে চিনি কতটা খাওয়া উচিত, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিদিন ২৫-৩৭.৫ গ্রাম চিনি খাওয়া হার্টের জন্য নিরাপদ। কিন্তু আমেরিকানদের মতো ৭১ গ্রাম চিনি খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।গবেষকদের মতে, মিষ্টিতে থাকা চিনি ধীরে ধীরে শরীরে হজম হয়, তাই তা হার্টে চাপ সৃষ্টি করে না। কিন্তু চিনিযুক্ত পানীয় দ্রুত হজম হয়ে শরীরে চিনির মাত্রা বেড়ে গিয়ে হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।