ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:এসএসসি ২০১৬ সালের প্যানেল নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে চলছে তীব্র আইনি লড়াই, যেখানে প্রায় ২৬,০০০ প্রার্থীর ভবিষ্যত ঝুলে রয়েছে। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে, দীর্ঘ শুনানি সত্ত্বেও কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তী শুনানি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি।
আওয়ামী লীগের ইস্তাহার বিলির বিরুদ্ধে ইউনূস সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারিঃ জন্ম নতুন বিতর্কের
যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
এই মামলায় মূল বিষয় হলো, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় যারা বসেছিলেন, তাদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে, মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আবারও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তার মতে, নতুন পরীক্ষা নেওয়া গেলে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হবে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, যারা ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের বয়সের সীমা তুলে নিয়ে আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, ‘যোগ্য’ প্রার্থীরা তাদের চাকরি দীর্ঘদিন ধরে করছেন এবং তাদের মতে, রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কারণে আবার পরীক্ষা দিতে বলা হবে, তা একেবারে অমানবিক সিদ্ধান্ত হবে। তারা চাকরি অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।এছাড়া, আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে বলেন, “প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নিয়মবহির্ভূতভাবে ৪ বার কাউন্সেলিং হয়েছে, এবং নম্বরের বিভাজন ছাড়াই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া জুড়ে ছিল অসংখ্য বেনিয়ম।” তিনি এসএসসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা আরোপের দাবিও করেন।
সইফ আলি খানের সাহসী প্রত্যাবর্তন
এরই মধ্যে ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়, যা রাজ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর পর, রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় এবং সেই মামলায় বর্তমানে চাকরি সংশ্লিষ্ট সকলকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে এবং বেতনও ফেরত দিতে হবে।এভাবে, ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে মামলার ফলাফল এখনো অজানা, এবং পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারিতে হবে। আপাতত, তাদের ভবিষ্যত ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী সিদ্ধান্তের ওপর।