ব্যুরো নিউজ,১২ ডিসেম্বর:আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ন্যায্য বিচারের দাবিতে গত ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে রাজপথে ওঠে জনতার চিৎকার। সেই রাতের চার মাস পর ফের এক প্রতিবাদী জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার, কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস চত্বরের রাণুচ্ছায়া মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্পর্ধার চিৎকার’ নামক জমায়েত। এই প্রতিবাদ সভাটি চলবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
‘রং বদলানোর’ সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য, অবশেষে মান্যতা কেন্দ্রের, বরাদ্দের জট কাটার সম্ভাবনা?
কি কি পরিকল্পনা রয়েছে?
১৪ অগস্টের রাতে দেখা গিয়েছিল এক অদ্ভুত চিত্র যেখানে মেয়েরা রাতের আঁধারে রাজপথ দখল করেছিল। সেসময় সমমনস্ক পুরুষরাও অংশ নিয়েছিলেন। এরপর থেকে বারবার পথে নেমে প্রতিবাদীরা বিচার দাবি করেছেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে নারী আন্দোলনের কর্মী শতাব্দী দাস জানিয়েছেন, আর জি করের ঘটনা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি সামনে এনেছে এবং এই জমায়েতে নানা পেশার নারীদের অভিজ্ঞতা শোনা হবে। এখানে অংশ নেবেন শিক্ষিকারা, কর্পোরেট কর্মীরা, পরিচারিকারা, আশাকর্মীরা এবং যৌনকর্মীরা। তারা শেয়ার করবেন তাদের জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতা এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি।
রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবঃ কংগ্রেসের চড়া ক্ষোভ
এই আলোচনায় ইন্টারনাল কমপ্লেইনটস কমিটি (আইসিসি) বা লোকাল কমপ্লেইনটস কমিটির (এলসিসি) কার্যকারিতা নিয়েও সচেতনতা বাড়ানো হবে। এছাড়াও রূপান্তরকামী এবং যৌন সংখ্যালঘু মানুষদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা শোনাতে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন তারা পুনরায় পথচারীদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে চান যারা একসময় আন্দোলনে যোগ দেননি।এছাড়াও শিশু-কিশোরদের জন্য ‘গুড টাচ, ব্যাড টাচ’ এবং ‘কনসেন্ট’ নিয়ে আলাদা আলোচনা আয়োজন করা হবে। গান ও আবৃত্তির ব্যবস্থা থাকবে। মহিলা এবং প্রান্তিক মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে যদি নতুন দাবি বা দৃষ্টিকোণ উঠে আসে তবে তা প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের কাছে পৌঁছে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের।