ব্যুরো নিউজ,২২ ফেব্রুয়ারি :এ পর্যন্ত এক দিনের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আফগানিস্তান দুটি ম্যাচও জয় করতে পারেনি। শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আফগানিস্তান। রায়ান রিকেলটনের অসাধারণ শতরান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে হারিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়া দল।
হরমনপ্রীত কউরের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে মুম্বইয়ের জয়, আরসিবি-কে হারিয়ে সেরা পারফরম্যান্স
বড় দলের জয়
গ্রুপ বি-তে আফগানিস্তান যেহেতু সবথেকে দুর্বল দল হিসেবে পরিচিত, তাই তাদের বিরুদ্ধে বড় দলের জয় পাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান বড় দলগুলোকে হারানোর ইতিহাস রেখেছে। শুক্রবার করাচিতে হলেও, আফগান দল ম্যাচটি জয় করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছেন। রহমত শাহ ছাড়া আফগান দলের পক্ষ থেকে বলার মতো কিছুই ছিল না।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ওপেনিংয়ে নিজে না এসে রায়ান রিকেলটনকে সুযোগ দেন, এবং রিকেলটন সেই সুযোগের দাম রেখেছেন। প্রথমে টনি ডি’জর্জিকে (১১) হারালেও, রিকেলটন এবং বাভুমার ১২৯ রানের জুটির মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে যায়। বাভুমা ৫৮ রান করে ফিরে গেলেও, রিকেলটন ১০৩ রান করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।দক্ষিণ আফ্রিকার বাকিরা যেমন রাসি ভান ডার ডুসেন (৫৮) এবং এডেন মার্করাম (অপরাজিত ৫২) নিজের নিজস্ব ভূমিকা পালন করেছেন, তেমনি মার্করামের ঝোড়ো ইনিংসের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১৬ রানের লক্ষ্য সেট করতে সক্ষম হয়।
আফগানিস্তান ৩১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনোই তাদের জয় পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়নি। বড় রান তাড়া করতে গেলে প্রয়োজন হয় বড় জুটির, কিন্তু আফগান ব্যাটাররা সেটা করতে পারেননি। নিয়মিতভাবে উইকেট হারিয়েছে তারা। একটিও ৫০ রানের পার্টনারশিপ হয়নি। রহমত শাহ একমাত্র ব্যাটার যিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন। তবে অপর প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেষ দিকে, যদিও ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তাঁরও, এবং ৯০ রানে ফিরতে হয় তাকে। বাকি ব্যাটাররা একদমই কোনো বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০ রানও কোনো ব্যাটার পার করতে পারেননি।এভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানকে একেবারে হতাশ করেছে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।