ব্যুরো নিউজ, ৪ জানুয়ারি :বিয়ে নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে সমাজে যে ধারনা ছিল, তা এখন বদলে যাচ্ছে। আগে যেখানে বিয়েকে বাধ্যবাধকতা হিসেবে ধরা হতো, এখনকার তরুণী সমাজে এটি শুধুমাত্র একটি চয়েসে পরিণত হয়েছে। তাঁরা আর বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়তে চান না, বরং নিজেদের জীবনকে নিজের পছন্দমতো গড়তে চান। আজকাল এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য তাড়া থাকলেও, অনেকেই তাঁদের জীবনকে স্বাধীনভাবে বাঁচাতে বিয়ে নিয়ে কোনও চাপ অনুভব করছেন না।
সামাজিক স্বীকৃতি
এতদিন ধরে বিয়েকে শুধুমাত্র সামাজিক স্বীকৃতির একটা মাধ্যম হিসেবে দেখা হতো। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে, বিয়েকে প্রাধান্য দেওয়া হতো, যেন তাঁদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সংসার করা। কিন্তু সময় বদলেছে, যুগ বদলেছে। এখনকার মেয়েরা জানাচ্ছেন, বিয়ে তাঁদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাঁরা চাইছেন, এটি হোক একটি পছন্দ। আর এখনকার তরুণীরা সেই স্বাধীনতা আর জীবনযাপনের অধিকারই পাচ্ছেন।এর পেছনে যে মূল কারণটি রয়েছে, তা হলো শিক্ষা এবং আর্থিক স্বাধীনতা। এখন মেয়েরা নিজস্ব পছন্দের জায়গায় পড়াশোনা করছেন এবং কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। অর্থাৎ, তাঁরা জানেন, তাঁদের জীবন এবং ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সম্পূর্ণ নিজের। তাই বিয়ে হোক বা না হোক, সেটি তাঁদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়।
উর্বশী রাউতেলা এবং নন্দমুরি বালাকৃষ্ণের ‘অশ্লীল’ নাচের কারণে ট্রোলিংয়ের শিকার তারা
তবে সমাজের একাংশ এই পরিবর্তন মানতে পারছে না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এখনও এ ধারণায় বিশ্বাসী যে, মেয়েদের বিয়ে একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আর তাই যখন কোনও নারী বিয়ের গুরুত্ব না দিয়ে নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাঁকে নারীবাদী বা নাক উঁচু বলে কটাক্ষ করা হয়। কিন্তু, আজকের যুগে মেয়েরা যদি নিজেদের পছন্দে জীবন যাপন করেন, তাহলে সেই পরিবর্তনটাকে সমাজকে মেনে নিতে হবে।সাম্প্রতিক সময়ে, সিঙ্গল থাকার চয়েসকে এক নতুন প্রতিষ্ঠা দিয়েছে বর্তমান তরুণীরা। তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, বিয়ে তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। আসলে, এটি একটি পছন্দ হতে পারে, আর সেই পছন্দটাই তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার অংশ। এখন সময় এসেছে এই সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটানোর, আর তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের সবার।