শর্মিলা চন্দ্র, ৩০ মে: যারা ট্রেক করতে ভালোবাসেন তাঁদের একেবার আদর্শ জায়গা সান্দাকফু-ফালুট ট্রেক রুট। পর্যটকদের কাছে এই ট্রেক রুট বেশ জনপ্রিয়ও বটে। সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে এই ট্রেক রুট পর্যটকদের অপরূপ নৈসর্গিক শোভা উপহার দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সান্দাকফুতে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে।
ঘুরে আসি : নির্ভেজাল বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে যান বার্মিক
দার্জিলিং শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার
তবে সান্দাকফুতে গেলে পুরো ট্রেক রুট শেষ করে ফিরতে বেশ কিছুদিন কিন্তু সময় লাগে। অনেকই আছেন যারা কম সময়ের মধ্যে ট্রেক সম্পূর্ণ করে ফিরে আসতে চান। কারণ অনেক সময় ছুটি বেশি দিন পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে সান্দাকফু একটু সমস্যার। আবার এখানে যেহেতু পর্যটকদের ভিড় বেশ, তাই যারা একটু শান্তশিষ্ট পরিবেশে ট্রেকিংয়ে যেতে পছন্দ করে তাদের জন্য রইল একটি নতুন ঠিকানা।
আর সেই নতুন ঠিকানা হল সিদ্রাপং। দার্জিলিং থেকে এই জায়গায় দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। পাহাড়ের কোলে এই ছোট্ট জায়গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বেশ পরিচিত। এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছিল ১৮৯৭-তে। ভারত তথা গোটা এশিয়া মহাদেশে এটি সব থেকে পুরনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
ঘন পাহড়, জঙ্গলে ঘেরা পথ দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। পাহাড়ের গা বেয়ে জল নেমে আসার শব্দ আপনাকে অন্যরকম অনুভূতি দেবে। আর এর সঙ্গে উপরি পাওনা পুরনো সাঁকো। প্রকৃতির সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে এই জায়গাটি কিন্তু একেবারে আপনার জন্যই। তবে তার জন্য বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। পর্যটকদের কথা মাথা রেখে জিটিএ-র উদ্যোগে দার্জিলিঙের সিদ্রাবং হাইডেল প্রজেক্টে একটি ট্রেকিং রুট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেও পাহারপ্রেমীরা পেয়ে যাবে আরও একটি ট্রেকিং রুট।