ব্যুরো নিউজ,১৬ ডিসেম্বর:মুম্বইয়ের ক্রিকেটার এবং জাতীয় দলের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ারের ২০২৩ সাল ছিল ট্রফিতে মোড়া এক অসাধারণ বছর। বছরের শুরুতে ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলায় বোর্ডের রোষানলে পড়লেও ফিরে এসে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। রঞ্জি ট্রফি থেকে ইরানি কাপ, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি থেকে আইপিএল— শ্রেয়স একের পর এক ট্রফি জিতেছেন।
আইপিএল ২০২৫ নিলামে উইকেটরক্ষকরা পেলেন সবচেয়ে বেশি টাকা! তবে বোলারদের পিছনে খরচ কারা?
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ও সাফল্য
বছরের শুরুর দিকে বোর্ডের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে রঞ্জি এবং ইরানি কাপের মতো ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলতে শুরু করেন শ্রেয়স। ইরানি কাপের ফাইনালে তার দল অবশিষ্ট ভারত একাদশ প্রথম ইনিংসের লিড ধরে জয়লাভ করে। প্রথম ইনিংসে ৫৭ রান করা শ্রেয়স দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান পাননি তবে দলের জয় নিশ্চিত হয়।রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে আজিঙ্কে রাহানের নেতৃত্বাধীন মুম্বই দল বিদর্ভকে হারিয়ে শিরোপা জেতে। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রান করে দলের জয়ের পথ সুগম করেন শ্রেয়স।আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে ১০ বছরের ট্রফি খরা কাটান শ্রেয়স আইয়ার। শুরুতে রান না পেলেও মরসুমের শেষদিকে দুর্দান্ত ফর্মে ফিরে আসেন। তার নেতৃত্বে কেকেআর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়।
আইপিএল ২০২৪ মেগা নিলামে কেন কিছু বিশ্বমানের ক্রিকেটাররা দল পেলেন না?
এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও অধিনায়ক হিসেবে মুম্বইকে জিতিয়ে দেন শ্রেয়স। ফাইনালে তার দল মধ্যপ্রদেশকে হারায়। শ্রেয়স নিজে বড় রান না করলেও তার নেতৃত্বে মুম্বই অপরাজিত থেকে ট্রফি ঘরে তোলে।রঞ্জি, ইরানি কাপ, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি এবং আইপিএল— এই চারটি বড় শিরোপা জিতেছেন শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ৯ মাসে। তার অসাধারণ পারফরম্যান্স ও নেতৃত্বগুণ তাকে জাতীয় দলের পাশাপাশি আইপিএল নিলামেও বড় আকর্ষণে পরিণত করেছে। পঞ্জাব কিংস তাকে ২৬.৭৫ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে, যা আইপিএল ইতিহাসে অন্যতম বড় চুক্তি।