প্যাকেটজাত দুধ কি ফোটানো উচিত? কি বলছেন গবেষকরা?

ব্যুরো নিউজ , ১৬ ফেব্রুয়ারি:আগে খাটাল থেকে দুধ আনার পর দুধ ভালো করে ফুটিয়ে খাওয়া হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছুই। এখন প্যাকেট দুধের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। প্যাকেট, পাউচ কিংবা টেট্রা প্যাকের দুধ বাজারে পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, প্যাকেটের দুধ পাস্তুরাইজড, অর্থাৎ একটি বিশেষ তাপমাত্রায় তাপ দিয়ে জীবাণু মুক্ত করা হয়, তাই এটি খাওয়ার আগে ফোটানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে যে, প্যাকেট দুধও ফুটিয়ে খাওয়া উচিত।

অবশেষে আইনি সিলমোহর পেতে চলেছে অনিন্দ্য-মধুজার বিচ্ছেদ

কি বলছেন ?

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, কাঁচা দুধে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (এচ-১এন-১) থাকতে পারে। গবেষণা থেকে জানা গেছে, কাঁচা দুধে এই ভাইরাস পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এবং ফ্রিজে রাখলেও ভাইরাসের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই দুধ খেলে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যেহেতু দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটালে জীবাণু মরে যায়, তাই ফুটিয়ে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

গবেষক আলেকজান্দ্রিয়া বোহেমের মতে, পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে দুধে থাকে কিছু ব্যাকটেরিয়াও এবং ভাইরাস তো দুধে থাকেই, যার মধ্যে রয়েছে ই-কোলাই, সালমোনেল্লা এবং অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক, টেক্সাস এবং মেক্সিকোর কিছু পশুপালন কেন্দ্রে গরুর দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গেছে। এর ফলে প্যাকেট দুধও ফুটিয়ে খাওয়া উচিত, না হলে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটতে পারে।

আপনার তোয়ালের নরম ভাব আর নেই নতুনের মতো ? কি করলে দীর্ঘদিন তোয়ালে থাকবে তুলতুলে নরম জানুন

এছাড়া, ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি এর গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, পাস্তুরাইজড দুধেও বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি যেমন সিউডোমোনাস, মাইক্রোকক্কাস, এনটারোব্যাক্টর, ব্যাসিলাস ইত্যাদি। তাই, দুধ সবসময়ই ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। প্যাকেট দুধও ফোটানোর প্রয়োজন রয়েছে। গবেষকরা আরও জানান, দুধ বারবার ফুটালে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না। অর্থাৎ, দুধকে সুরক্ষিত রাখতে ফুটিয়ে খাওয়াই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর