ব্যুরো নিউজ,২৩ আগস্ট:আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে চেয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি মিলল না। দুটি বেসরকারি স্কুল আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিল বের করার অনুমতি চেয়েছিল পুলিশের কাছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের তরফে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বর্ধমানের দুটি বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল গত ১৮ই আগস্ট প্রতিবাদ মিছিল বের করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। কিন্তু পুলিশ সেই মিছিলের অনুমতি দেয় নি।
প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন:
আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ‘ধমকির’অভিযোগ!যেতে পারেন সিবিআই দপ্তরে, সুরক্ষার সুপ্রিম আশ্বাস
এরপরে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ২১ আগস্ট ওই প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়।অভিযোগ, তখনও পুলিশ প্রশাসন স্কুল দুটিকে ফিরিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছে, আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হলে, পুলিশ প্রশাসন প্রতিবাদ ঠেকাতে বলপ্রয়োগ করতে পারবে না। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ নাকি মৌখিকভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মিছিল করতে নিষেধ করেছে। বর্ধমানের এই দুটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের মধ্যে একটি স্কুলের চেয়ারম্যান সঞ্জয় গুপ্তা বলেন, স্কুলের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, অভিভাবক, পড়ুয়া সকলেই এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তবুও পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। অনুমতি না মিললেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ২৩ আগস্ট শুক্রবার মিছিল বের করবেন বলে জানিয়েছেন।
RG Kar case: কোথায় লুকিয়ে রহস্য? নির্যাতিতার সঙ্গে ডিনার ৪ চিকিৎসকের,গোপন জবানবন্দি চাইছে সিবিআই
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকদের এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। যে চিঠিটি পুলিশকে লিখিত আকারে স্কুল কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। প্রসঙ্গত: বর্তমান সময়ে যেকোনো প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে গেলেই দেখা যাচ্ছে পুলিশের অনুমতি মিলছে না। বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিবাদ আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে মমতার সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলকেও কোনো কর্মসূচি করতে গেলে আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হচ্ছে। একাধিকবার এরকম দেখা গিয়েছে। এবার আরজিকর আবহের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, স্কুলের বাইরে কোনো কর্মসূচিতে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিতে পারবে না। আর এই নির্দেশিকা ঘিরেই শিক্ষক মহল যেমন সমালোচনায় মুখর হয়েছে, তেমনি বিরোধীদল বিজেপিও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে। বিরোধীদলের দাবি, আরজিকর ইস্যুতে প্রতিবাদ আন্দোলনকে বন্ধ করতে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে।