ব্যুরো নিউজ, ৩০ মে : কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লাকে তলব করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবারই সিবিআই-এর দেওয়া চিঠি পৌঁছে ছিল তাঁর কাছে। বুধবার তাঁর হাজিরার দিন থাকলেও সেই হাজিরা এড়ান শওকত মোল্লা। যদিও তাঁর হাজিরা এড়ানোর জন্য হাতিয়ার করছেন রেমালকে। তাঁর দাবি তিনি নাকি রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনবাসীর সাহায্যের কাজে ব্যস্ত। সেই কারণে সিবিআই-এর হাজিরা এড়ালেন। সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক। এর পাশাপাশি তিনি আবার সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সহ সভাপতিও বটে।
বাংলার লজ্জা! নিয়োগ দুর্নীতির পর শিক্ষক নিয়োগে ছেদ! চাকরির খোঁজে বিহারে বাংলার ছেলে-মেয়েরা
ঠিক কী কারণে সিবিআই-এর হাজিরা এড়ালেন? উঠছে প্রশ্ন
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন আগামী ১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব জায়গাতেই ভোট। সেই ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেও তিনি এখন হাজিরা দিতে পারলেন না বলে চিঠিতে জানিয়েছেন। তবে ৪ জুন ফলপ্রকাশের পর তলব করলে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন বলেও জানান শওকত মোল্লা। চিঠির পাশাপাশি গোটা বিষয়টি ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সিবিআই-কে ইমেল মারফতও জানিয়েছেন।
আসানসোলের কয়লা খনি থেকে অবৈধভাবে যে কয়লা তোলা হয়েছিল তার ভাগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ইটভাটায় পৌঁছে ছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর সঙ্গে শওকত মোল্লার কোনওরকম যোগাযোগ আছে কিনা তা জানতেই সিবিআই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ককে তলব করেছিল। যদিও সিবিআই-এর তলব এড়ালেও বুধবার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল শওকত মোল্লাকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ভোটের মাঝে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে না পারেন তার জন্যই কি সিবিআই তলব এড়ালেন শওকত মোল্লা? রেমালে বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে ব্যস্ত থাকার কথা কি স্রেফ অজুহাত? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশের।