ব্যুরো নিউজ,১১ নভেম্বর:ভারতের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বিচারপতি খান্নার শপথগ্রহণের মাধ্যমে দেশের বিচারব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।সঞ্জীব খান্না ১৯৬০ সালের ১৪ মে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, বিচারপতি হংসরাজ খান্না, ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এবং মা, লেডি শ্রীরাম কলেজের শিক্ষক। তিনি ১৯৮০ সালে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
বিচারব্যবস্থায় একটি নতুন দিকনির্দেশনা
১৯৮৩ সালে আইনি পেশায় আত্মপ্রকাশ করেন এবং দিল্লি বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেন। প্রথমে দিল্লির তিসহাজারি কোর্ট এবং পরবর্তী সময়ে দিল্লি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন ট্রাইবুনালেও আইন পেশা পরিচালনা করেন।২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং এক বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাকাও, বিচারপতি হংসরাজ খান্না, ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম শ্রদ্ধেয় বিচারপতি।
মাত্র ৩০ টাকায় বন্দে ভারত ট্রেনে সফরের সুযোগ
বিচারপতি হংসরাজ খান্না তার ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় সুপ্রিম কোর্টে এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা মামলায় তার ভিন্নমত প্রকাশের জন্য।প্রধান বিচারপতি হিসেবে সঞ্জীব খান্নার মেয়াদ থাকবে ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত।তার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় একটি নতুন দিকনির্দেশনা আসবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।