ব্যুরো নিউজ,২২ আগস্ট: দেশের বৃহত্তম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজিকরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। যাকে এই মুহূর্তে আরজি কর কাণ্ডে দিনের পর দিন ম্যারাথন জেরা করছে সিবিআই। যার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে আসছে। সেই সন্দীপ ঘোষ এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
কি চলছে বাংলায়?সিবিআই জেরার মধ্যেই সন্দীপকে নতুন দায়িত্ব মমতার,ফের অধ্যক্ষ বদল আরজি করে
সন্দীপের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
সন্দীপের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য শুনানিতে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম তার মক্কেল সম্পর্কে অসত্য আর অবমাননাকর খবর প্রকাশ করছে। তাতে তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে। আর সন্দীপের মানহানি হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হচ্ছে।’ এই শুনানিতে এবিপি প্রাইভেট লিমিটেডের আইনজীবী রত্নাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘এই ধরনের কোনো অভিযোগ থাকলে মামলাকারী প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। সংবাদ মাধ্যমের সার্বিক নিষেধাজ্ঞা সংবিধান স্বীকৃত বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী’। এছাড়াও মামলার নথিতে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে এবিপি সংস্থা কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের আয়োজন করেছে। সমস্ত সওয়াল জবাব শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার মামলাকারীর আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেন, “এই পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো প্রয়োজন বোধ করছে না কোর্ট। কোনো নির্দিষ্ট সংবাদ নিয়ে আপত্তি থাকলে প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারেন।”
তবে হাইকোর্টের বিচারপতি জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত খবরে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে কোনো আগাম সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য প্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন। কোনো অ্যানিমেশন নাট্যরূপ প্রকাশ করা যাবে না। বস্তুগত সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। আর সংবাদ মাধ্যমের নিজস্ব মতামত সেখানে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো বিতর্ক বা আলোচনা সভা হলে সেখানে বক্তার মন্তব্য যে সংবাদমাধ্যমের মতামত নয়, সে ব্যাপারেও বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিতে হবে। এই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার জানান, “এমন কোনো তথ্য মামলাকারী দেখাতে পারেননি, যেটা থেকে মিডিয়া ট্রায়াল বোঝা যায়। যেহেতু মামলাকারী অভিযুক্ত নন, তাই বর্তমান মিডিয়া ট্রায়াল প্রাসঙ্গিক নয়। এখনো কোনো সংবাদমাধ্যমে ‘উস্কানিমূলক প্রতিবেদন’ জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রকাশিত হয়নি। গণতন্ত্রে সংবাদ মাধ্যম চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করে। মানুষকে সংবাদ পরিবেশন এর যে কর্তব্য পালন করে, সেটাও কোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। পাশাপাশি, এক্ষেত্রে মানুষের সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে তথ্য জানার অধিকার রয়েছে বলেও হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে।