ব্যুরো নিউজ,২৭ আগস্ট: আরজিকর কাণ্ডে গোটা রাজ্য উত্তাল। আরজিকর হসপিটালে মৃত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। আরজিকর কাণ্ডের সময় আরজিকর হসপিটালের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। অধ্যক্ষ থাকাকালীন এরকম একটি নক্কারজনক ঘটনা কিভাবে হাসপাতালের মধ্যে ঘটতে পারে এই প্রশ্নের মুখে সন্দীপ ঘোষ। তার নিজের কাজের গাফিলতির জন্য তাকে আরজিকর হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি নাম্বার ওয়ান শো বয়কটের ডাক
আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল সন্দীপের প্রাক্তন সহপাঠীদের
আরজিকর কাণ্ডের এই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হতবাক তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। দিনে দিনে সন্দীপের বিরুদ্ধে যত অভিযোগের তালিকা বেড়েছে তার সহপাঠী এবং শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তত বেড়েছে। তাদের মতে সন্দীপকে তাদের বন্ধু বলতে লজ্জা করছে। শিক্ষকরাও বলছেন সন্দীপের মতন ছাত্রের শিক্ষক হওয়াটা লজ্জার। সন্দীপ ঘোষ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। কৃতি ছাত্র হিসেবে তার নাম তাদের স্কুলের তালিকা বোর্ডে খোদাই করা ছিল। কিন্তু আরজিকর কাণ্ডের পর কৃতি ছাত্রদের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছে। এরকম একজন ছাত্রের নাম স্কুলের বোর্ডে খোদাই থাকা লজ্জার।
পুজোর আগে রোগা হতে খান এই ৩ সুস্বাদু খাবার গুলি
আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল করলেন সন্দীপের প্রাক্তন সহপাঠীরা । তারা রবিবার বনগাঁ নীলদর্পণ এর সামনে মিছিল শুরু করেন। তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল “সন্দীপ তুই বদলে গেলি, কি করে তোকে বন্ধু বলি?” । সন্দীপ ঘোষের একজন সহপাঠী চিকিৎসক বিবেক সরকার বলেন তারা একসাথে 1989 সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পাস করেন ।সন্দীপ ঘোষ প্রচন্ড মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু অন্যায় করলে তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি জানান সন্দীপ ঘোষ তার বন্ধু হওয়ায় খারাপ লাগার সাথে সাথে যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে অবশ্যই তিনি তার উপযুক্ত বিচার চান।