Mahananda

ব্যুরো নিউজ,১৪ সেপ্টেম্বর :শিলিগুড়ি শহরের নিকটবর্তী মহানন্দা অভয়ারণ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৫৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ‘ইকো-সেনসেটিভ জ়োন’ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। সরকারি সূত্রের মতে, ৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রক এই সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, দুই মাস পর এটি আইনে পরিণত হলে, ওই অঞ্চলে নতুন নির্মাণ, গাছ কাটার কাজ, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, শিল্প প্রকল্প এবং জলাশয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

দুর্গাপুজোয় পদ্মার ইলিশ এবার পশ্চিমবঙ্গে আসবে না

সুরক্ষায় কী পরিবর্তন আসতে চলছে ?

মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভুল চিকিৎসা’ প্রসঙ্গে দিলিপের কটাক্ষ

বর্তমানে এই নির্দেশিকাটি প্রশাসনিকভাবে খসড়া বিজ্ঞপ্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দেশের যে কেউ, কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এই বিষয়ে তাদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি জানাতে পারবেন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সরকার সেই মতামত খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। দুই মাস পর এটি আইনে পরিণত হলে, কেন্দ্র ও রাজ্যের বন এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন ও নির্দেশিকা এই ৫৪০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে কার্যকর হবে। এর ফলে সুকনা ও দাগাপুরের মতো চা বাগানে নতুন রিসর্ট বা বহুতল আবাসন নির্মাণ করা যাবে না। এছাড়া, তিস্তা বা অন্য কোনো স্থানে নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও শুরু করা যাবে না। এই এলাকায় পাহাড়, জঙ্গল, নদী বা প্রাকৃতিক সম্পদের কোনও ক্ষতি করা যাবে না—এটি স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের দাবিও ছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? বামদের নতুন প্রশ্ন!

দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, ‘কেন্দ্রের তরফে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্তরের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করা হবে।’ বন দফতর এবং প্রশাসনিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মহানন্দা অভয়ারণ্য সুকনা থেকে কার্শিয়াং, পানিঘাটা, সিটং, কালিঝোরা, সেবক এবং শালুগাড়ার মধ্যে বিস্তৃত। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অভয়ারণ্যে হাতি, বাঘ ও বিভিন্ন প্রকার হরিণসহ বহু বন্যপ্রাণী বসবাস করে। তাই এই অঞ্চলকে ‘ইকো-সেনসেটিভ জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর