ব্যুরো নিউজ,২০ নভেম্বর:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১,০০০ তম দিনে, ইউক্রেন আমেরিকা থেকে পাওয়া ছ’টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতের গভীরতা বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই হামলা কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক সংকেত? রাশিয়া কি ইউক্রেনের এই হামলায় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দিকে যেতে পারে?
কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের নিরাপত্তা নিয়ে শোরগোল, মদন মিত্রর বিতর্কিত মন্তব্য
রাজনীতিতে গভীরভাবে প্রতিফলিত হবে
এই হামলার পর, রাশিয়া দাবি করেছে যে, ব্রিয়ানস্কি অঞ্চলে যে আক্রমণটি চালানো হয়েছে, তা আমেরিকার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি। তবে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান, দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন যে, ন্যাটো বা আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হলে রাশিয়া তা তার দেশের বিরুদ্ধে হামলা হিসেবেই গণ্য করবে এবং পালটা পরমাণু হামলা করতে পারে। তার মতে, এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু হতে পারে।তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ইউক্রেনের এই হামলার মাধ্যমে যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলাবে না। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, তিনি মনে করেন এই হামলা যুদ্ধের ক্ষেত্রে কোনও বড় পরিবর্তন আনবে না। যদিও, ইউক্রেনের হাতে সীমিত পরিমাণে আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা রাশিয়াকে প্রকৃতভাবে বড় ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট নয়।
কৃষ্ণনগরে পুলিশের বাধায় সুকান্ত মজুমদারের বেলডাঙ্গা যাত্রা বিপর্যস্ত, তীব্র প্রতিবাদ
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সৈন্যের সংখ্যা এবং তাই, এই যুদ্ধের পট পরিবর্তন করতে পারবে না। তারা আরও বলেছেন, যত বড় অস্ত্রই ব্যবহার হোক না কেন, ইউক্রেনের আক্রমণের সাথে রাশিয়া এক বড় পালটা জবাব দিতে সক্ষম। এর ফলে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে এবং এর প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতে গভীরভাবে প্রতিফলিত হবে।