ব্যুরো নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর :আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ চার জন। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।তাদের মধ্যে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও রয়েছেন সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলি। বুধবার থেকে এই চারজনকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছে, এবং আপাতত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তারা।
জনসাধারণের অবিচ্ছেদ্য সমর্থনে চলতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন
১০ নম্বর সেল
সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলের ১০ নম্বর সেলে বন্দি। শুরুতে তাঁকে ২২ থেকে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর সেলে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ‘পহেলা ২২’ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর সেলে। সেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে সর্বক্ষণ নিরাপত্তারক্ষীরা মোতায়েন রয়েছেন। সন্দীপের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে পৃথক সেলে বন্দি রয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত যুবক। সুমন, বিপ্লবও একই সেলে রয়েছেন, তবে তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়া সম্ভব নয়।
“ইউভানের চতুর্থ জন্মদিনে প্রকাশ পেল ইয়ালিনির মুখ!”
সন্দীপের বর্তমান ঠিকানা ‘পহেলা ২২’-এর ১০ নম্বর সেল হলেও, আদালত দ্বারা অনুমোদিত তদন্তের জন্য সিবিআই আরও সাত দিন তাদের হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মুখোমুখি জেরার জন্য এই সময়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। আদালত সেই আবেদনে সায় দিয়েছে, ফলে বর্তমানে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর সঙ্গীদের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে দিন কাটাতে হচ্ছে।মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তে নানা বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ‘ক্লোনিং’ এবং ‘ডিসিলিং’ করার আবেদনও করেছে। এই আবেদন অনুযায়ী, সিবিআই এফআইআর সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সিবিআইয়ের আইন অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের হেফাজতও প্রয়োজন।
বর্তমানে, নিজেদের নতুন ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেলের ১০ নম্বর সেলেই বন্দি আছেন সন্দীপ ঘোষ এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, ফলে তাদের হেফাজতের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁরা প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন, এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।