ব্যুরো নিউজ,১৮ আগস্ট:আরজিকর কাণ্ডে বিগত কয়েক দিন ধরেই চলছে মোমবাতি মিছিল, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়ারা। আরজিকরের সামনেই হয়েছে জমায়েত এবং প্রতিবাদী সমাবেশ আন্দোলন। এবার আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ১৬৩ ধারা জারি করেছে। একমাত্র লক্ষ্য, কোনোভাবেই যাতে আরজি কর সংলগ্ন এলাকায় কোনোরকম বিক্ষোভ আন্দোলন তৈরি না হয়।
RG Kar case:বাম-রাম জোটের তত্ত্ব মমতার!তবে একাধিক ‘তৃণমূলের ছেলে’পুলিশের জালে
পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব বুদ্ধিজীবীরা:
RG Kar case:মেয়েকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কারা জড়িত..সিবিআইকে যা বলেছেন মৃতার বাবা
স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত দখলের কর্মসূচির দিন আরজি করে একদল দুষ্কৃতী ঢুকে ভাঙচুর চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাসপাতালের বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। এবার আরজি করকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলার জন্যই পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, পুলিশ চাইছে আরজি কর ইসুতে যেন কোনো রকম আন্দোলন হাসপাতালের সামনে গড়ে না ওঠে। আর সেই কারণেই ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র হাসপাতাল চত্বর নয়, শ্যামবাজার মোড়, বেলগাছিয়ার বহু রাস্তায় ১৬৩ ধারা জারি হয়েছে। যে জায়গায় মিটিং মিছিল জমায়েতে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে নয়া কৌশল? আরজি কর কান্ডে মমতার সরকারকেই নিশানা অভিষেকের,খবর সূত্রের
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ দিন আরজিকর সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ জনের বেশি জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। হাতে লাঠি থাকবে না। পুলিশের দাবি, শান্তিরক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ। এদিকে কলকাতা পুলিশের এই ১৬৩ ধারা লাগু করার বিষয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। অভিনেতা এবং নাট্যকর্মী নীল জানান, ‘পাওয়ার ডমিনেশন চলছে। এরও প্রতিবাদ করা উচিত। দরকার পড়লে ফের মিছিল করব।’ বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘কোনো আন্দোলনকেই মেনে নিতে পারছে না। ডার্বি বন্ধ করে দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছে। পুলিশ মন্ত্রীর এক্ষুনি পদত্যাগ করা উচিত’। প্রসঙ্গত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরজি কর সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ।