ব্যুরো নিউজ,২১ আগস্ট:আরজিকরের নির্যাতিতার ন্যায্য বিচারের দাবিতে শ্যামবাজার মোড়ে ধর্ণা কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। বুধবার বেলা বারোটা থেকেই ধর্ণা কর্মসূচি শুরু হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করতে হয়েছে বিজেপিকে। রাজ্যজুড়ে বিজেপির টানা আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার শ্যামবাজার মোড়ের এই ধর্ণা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ অনেকে।
RG Kar case:নড়ে যাবে মমতার গদি!আরজি কর ইস্যুতে টানা আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি
সুকান্তের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনার:
RG Kar case:সুপ্রিম নির্দেশ এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা, কি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা
বিজেপির ধর্ণা মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গতকাল হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে, তার পরেও কলকাতা পুলিশ কমিশনার তার পদে রয়েছেন। ভেবে দেখুন, মুখ্যমন্ত্রী আর পুলিশ কমিশনার কতটা নির্লজ্জ? পুলিশ কমিশনারকে মুখ্যমন্ত্রী কেন বরখাস্ত করছেন না? আরজি করে নিরাপত্তার দায়িত্ব আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে, রাজ্য পুলিশের উপর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এতটুকু ভরসা নেই। তারপরেও নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী তার পদ আঁকড়ে বসে রয়েছেন। আর আদরের সিপিকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
বিজেপির এই ধর্ণা আন্দোলন কর্মসূচি একটানা ৫ দিন ধরে চলবে। প্রতিদিন এই ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন সুকান্ত মজুমদার, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্য স্তরের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে সুকান্ত বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন বাংলায় করতে হলে আদালতে যেতে হয়। কারণ গণতন্ত্র নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে আর প্রয়োজন নেই। উনি যত তাড়াতাড়ি পারেন, গদি ছাড়ুন। বাংলার মানুষকে এবার রেহাই দিন। তার কথায়, সুপ্রিম কোর্ট যে প্রশ্নগুলো গতকাল করেছে, তার উত্তর দিতে হবে। তৃণমূলের কেউ জবাব দিতে পারছে না কেন?
ধর্ণা মঞ্চ থেকে সুকান্তর প্রশ্ন, ‘পুলিশ তাড়াতাড়ি দেহ সৎকার করার চেষ্টা করেছে। তার একটাই কারণ, তা নাহলে আরজি করে নির্যাতিতার দেহ আরেকবার ময়না তদন্ত করানো যেত। এই ময়না তদন্ত অবৈধ। সন্ধ্যা ছটার পরে হয়েছে।’ আমাদের প্রশ্ন, ‘এত তাড়াহুড়ো কি কারনে? কি উদ্দেশ্য ছিল? দুইবার ময়নাতদন্ত হলে কার অসুবিধা হতো? তথ্য গোপন করার চেষ্টা কেন করা হয়েছে? একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে একজন এএসআই এত গুরুত্ব দিয়েছে কেন? এভাবেই ধর্ণা-মঞ্চ থেকে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।