ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনা নিয়ে বাংলায় উত্তাল পরিস্থিতি। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সমগ্র রাজ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন, যা বর্তমানে ৪১ দিনে প্রবেশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের কিছু দাবি মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এবং গ্রামবাংলায় বানভাসী পরিস্থিতির জন্য ডাক্তারদের মানুষের সেবায় ফিরতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর হুঁশিয়ারি; ‘৩৭০ ধারা ফেরানো সম্ভব নয়’
“টেন্ডার না ডেকে একাধিক কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হচ্ছে।”
এই আবহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ স্বাস্থ্য দফতরের ‘টেন্ডার’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, “টেন্ডার না ডেকে একাধিক কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হচ্ছে।” শুভেন্দুর হাতে কিছু নথি থাকলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তার অভিযোগগুলি একাধিক দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সাল থেকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির নামে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে।এদিন তিনি নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরের সবচেয়ে বেশি টেন্ডার ভাইপোর আত্মীয়ের কোম্পানিতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি এই পরিস্থিতিকে ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খোলার মতো তুলনা করেছেন, যেখানে স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতির নানা বিষয় প্রকাশ্যে আসছে।
আলিয়া-রণবীরের দুষ্টু-মিষ্টি ঝগড়ার কারন তাদের ছোট মেয়ে রাহা
এদিকে, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা তদন্তের মধ্যে রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী এবং তাদের সন্তানদেরও সন্দেহের তীরবিদ্ধ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, ‘কোভিডের সময় থেকেই দুর্নীতি বেড়েছে, আরজি কর হাসপাতালে সংস্কারের নামে সবচেয়ে বেশি অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।’ তিনি এও জানান, স্বাস্থ্য ভবনে নিয়োগের সময় এনআরআই কোটায় চরম দুর্নীতি হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘শুভেন্দু বাজার গরম করছেন কেন? তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিন। তথ্যের সারবত্তা থাকলে সেই তথ্য দিন।’আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতির অবস্থা যথেষ্ট জটিল হয়ে উঠেছে। একদিকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক দোষারোপের খেলা চলছে। এই ঘটনার ফলে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুণমান এবং প্রশাসনিক কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।