ব্যুরো নিউজ,৩১ আগস্ট:আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে পড়ুয়াদের কর্মসূচিতে মদ্যপ অবস্থায় বাইক নিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। যে বাইকটিতে করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ধাক্কা মারেন তাতে পুলিশ লেখা ছিল। এর পরেই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আটকে দেওয়া হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তবে এক পুলিশ কর্মী এসে ওই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। যার ফলে প্রতিবাদীদের ক্ষোভ আরো বেড়ে গিয়েছে।
মহিলা সাংবাদিকের দেহ ভেসে উঠলো ঢাকার একটি ঝিল থেকে
ভোর থেকেই পথ অবরুদ্ধ:
আপনার বাড়িতে পোষ্য আছে কি? যদি থাকে তাহলে এই ভুলটি করবেন না
শুক্রবার রাত থেকেই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়ারা। এই বিষয়ে এক আন্দোলনকারী বলেছেন, সিথির মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ছেলেমেয়েরা মিলে এই কর্মসূচিতে রাস্তায় ছবি আঁকছিলাম, গান গাইছিলাম। হঠাৎ ভোর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ দুজন বাইক আরোহী মদ্যপ অবস্থায় ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে যায়। তাদের বাইকের সামনে পুলিশ লেখা ছিল। সিথি থানার সার্জেন্ট তারকেশ্বর বাবু তাদের ঢুকতে দেয়। পরে নাটক করেন, যেন তিনি বাধা দিচ্ছিলেন। কিন্তু আসলে সেটা নয়। পুলিশ লেখা গাড়ির খোঁজ করে জানা যায় তার ইন্স্যুরেন্স এক্সপায়ার হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই। আর সার্জেন্টের গা দিয়েও মদের গন্ধ বেরোচ্ছে। এরপরেই প্রতিবাদ কর্মসূচি উত্তাল হয়ে ওঠে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সিথির মোড়ে প্রতিবাদীদের সামনে নিয়ে আসতে হবে এবং পদক্ষেপ করতে হবে বলে তারা দাবি করতে থাকেন। সেখানে পুলিশ পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছে, প্রতিবাদীদের কোনো দাবি মানা হবে না। যা করতে পারে করুক।
বিনা টিকিটে যাত্রীদের থেকে ২০ দিনে ১ কোটি টাকা
এরপরেই দেখা যায়, আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার ভোর ৪টে থেকে ডানলপ থেকে শ্যামবাজার অভিমুখে যাওয়ার রাস্তা রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়ারা পুরোপুরি অবরোধ করে দেন। উল্টো দিকের লেনও এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখা হয়েছে। এক পুলিশ কর্মীকে সেখানে আটকে রেখে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে রবীন্দ্রভারতীর বর্তমানের সঙ্গে প্রাক্তন পড়ুয়ারাও সামিল হয়েছেন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।